শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেদে ছাত্র রাজনীতিতে পরিবর্তন থাকা প্রয়োজন : ছাত্রলীগ সভাপতি

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ছাত্র রাজনীতি সব জায়গায় মিল রয়েছে। আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেদে ছাত্র রাজনীতিতে পরিবর্তন থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ বা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশ্যই পার্থক্য থাকা জরুরি। বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষায়িত ছাত্র রাজনীতি থাকা প্রয়োজন। আমরা আশা করি আগামীতে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগ সেই যায়গায় নেতৃত্ব দেবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে ছাত্র রাজনীতি শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতির কারণ হবে না। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব, লেখাপড়া, ক্যারিয়ার বিকাশ করার জন্য বরং সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এটা আমাদের ছাত্রলীগকে প্রমাণ করতে হবে। 

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু। এর আগে দুপুর ১২টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও ছাত্রলীগের দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।  রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি মোহা. ইসফাক ইয়াসশির ইপুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের  সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। এছাড়াও বিশেষ বক্তা ছিলেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সাইদ কনক।  ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক তানান।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, অনেক আশা নিয়ে এই রুয়েট ক্যাম্পাসে আমরা এসেছি। সম্মেলনে আমরা খোলামেলা আলোচনা করতে চাই। নেতাদের আগের পথ চলায় কী ভুল ছিলো। সামনে আমাদের কীভাবে সংগঠিত হতে হবে। শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া রয়েছে, সেগুলো ছাত্রলীগ কীভাবে সমাধান করবে। সেগুলো নিশ্চিত করার জন্য আমরা সম্মেলন করি। আজকে বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে রুয়েট ছাত্রলীগ আমরা যে লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করেছি তা পূরণ করার সক্ষমতা অর্জন করবে। আমরা সব সময় সংখ্যার ওপরে গুরুত্ব দেইনি। ছাত্রলীগের শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করার জন্য আমরা সম্মেলন করি না। আমরা এই শক্তিকে বিকেন্দ্রীকরণ ও সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সম্মেলন করি।

তিনি আরো বলেন, গতানুগতিকের বৃত্ত ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশে আমরা নতুন ছাত্র রাজনীতি নিশ্চিত করতে চাই। আমরা যারা ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি তারা যেন বিনয়ী হই। আমরা যেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারি।  আর দশটা ছেলে-মেয়ে ক্যাম্পাসে যেভাবে চলে আমরা যেন একই রকমভাবে ক্যাম্পাস লাইফ কাটাতে পারি। রাজনৈতিক পদ-পদবীকে যেন আমরা দায়িত্ব মনে করি। রাজনৈতিক সংগঠনকে ছেলেমেয়েদের দক্ষতা ও সততা বৃদ্ধিতে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করি।

এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: রাজশাহী