মূল পাতা জাতীয় নির্বাচন কমিশন ২ নভেম্বর আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হবে
রহমত নিউজ ডেস্ক 12 September, 2023 11:26 AM
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। এবার এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই ৩০০ আসনের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আসনভিত্তিক ভোটার তালিকার সিডি আগামী ২ নভেম্বর চূড়ান্ত করা হবে। ভোটার তালিকা চূড়ান্তের পরেই জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, মাঠ কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যে তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া যারা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করবেন তাদেরও আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে এই কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পরপরই মাঠ কর্মকর্তাদের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার কাজে হাত দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে।
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে উপজেলা বা থানা ভিত্তিক ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করার জন্য আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পাঠানো হবে। এরপর উপজেলা বা থানা ভিত্তিক ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকা নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য মাঠপর্যায়ে পাঠানো হবে আগামী ২৮ অক্টোবর। সবশেষে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার জন্য হালনাগাদ ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি ২ নভেম্বর প্রস্তুত করা হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রার্থীদের কাছে সরবরাহ করা হয়। এক্ষেত্রে একটি অঙ্কের টাকা পরিশোধ করে আসনভিত্তিক ওই সিডি গ্রহণ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। যেই সিডির ভিত্তিতেই প্রার্থীরা জানতে পারবেন কে তার ভোটার। গত ১৬ আগস্ট ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি জানাতে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল। দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তির শেষ সময় ১৭ সেপ্টেম্বর। আর ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা ২৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে।
সর্বশেষ ২০২২ সালের হালনাগাদ অনুযায়ী দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। যা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর জানা যাবে। খসড়া তালিকা অনুযায়ী, এবার ৪২ হাজার ৪০০ টির মতো ভোটকেন্দ্র হতে পারে। আর ভোটকক্ষ হতে পারে দুই লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোট ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ। সে সময় সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৬৫৭টি। এর মধ্যে যাচাই বাছাই শেষে ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়।