| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক ইউরোপ ‘আবায়া পরায় ৬৭ শিক্ষার্থীকে বাসায় ফেরত পাঠিয়েছে ফ্রান্স’


‘আবায়া পরায় ৬৭ শিক্ষার্থীকে বাসায় ফেরত পাঠিয়েছে ফ্রান্স’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     06 September, 2023     06:51 PM    


আবায়া পরে শ্রেণিকক্ষে আসায় ৬৭ মুসলিম শিক্ষার্থীকে বাসায় ফেরত পাঠিয়েছে ফ্রান্সের রাষ্ট্র পরিচালিত স্কুলগুলো।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সম্প্রতি স্কুলগুলোতে মুসলিম রীতির পোশাক আবায়া পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ফ্রান্স।

মাত্র এক সপ্তাহ আগে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা সত্ত্বেও ৪ সেপ্টেম্বর, প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থী আবায়া পরে স্কুলে এসেছিল। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, যারা আবায়া পরেছিল ২৯৮ জন মেয়ের বেশিরভাগই ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ফরাসি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে বেশিরভাগ মেয়েই যে ধরনের পোশাক পরে তারা ক্লাস করতে পারবে সে ধরনের বিকল্প পোশাক পরে আসায় সম্মত হয়েছিল। কিন্তু শুধু ৬৭ জন মেয়ে তা মানতে নারাজ হয় এবং তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠায় কর্তৃপক্ষ।

আবায়া মুসলিম নারীরা বোরকার মতো ব্যবহার করেন। এটি ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখে। ডানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও কট্টর ডানপন্থিরা জানান, এতে নাগরিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আত্তাল জানান, যেসব শিক্ষার্থীকে বাসায় পাঠানো হয়েছে, তাদের অভিভাবকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা কোনো বাধা নয়, বরং এটি এক ধরনের স্বাধীনতা'।

মুসলিমদের একটি সংগঠন ফ্রান্সের সর্বোচ্চ আদালত স্টেট কাউন্সিলে নারীদের আবায়া ও পুরুষদের কামিসের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার সরকারি আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই আবেদন করা হয়। অ্যাকশন ফর দ্য রাইটস অব মুসলিমস (এডিএম) নামের এই সংগঠনের আবেদনটি মঙ্গলবার যাচাই করে দেখবে আদালত।

২০০৪ সালে ফ্রান্সে একটি আইন পাস হয়, যেখানে বলা হয়, 'শিক্ষার্থীরা কোন ধর্ম পালন করেন, তা প্রকট হয়ে ওঠবে এমন কোনো পোশাক বা চিহ্ন তারা পরতে বা ধারণ করতে পারবে না।' যার ফলে নিষিদ্ধের তালিকায় যুক্ত হয় হিজাবের পাশাপাশি ইহুদিদের কিপ্পা ও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের ক্রুশ।