মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
রহমত নিউজ ডেস্ক 03 September, 2023 12:53 PM
বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ ও বাস্তবায়নের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ‘বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’। এই সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আরো কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জাতীয় প্রেসকাবের সামনে ৭২ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে এ আল্টিমেটাম দেন প্রাথমিক শিক্ষক নেতারা। সংগঠনের সভাপতি বদরুল আমিন সরকারের (ফরহাদ) ও মহাসচিব ফরিদুল ইসলাম এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক নিলা রানী দাস, প্রচার সম্পাদক জুয়েল মন্ডল, শফি আহমেদ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি শামসুল হক।
সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২৭ মে ২০১২ সালে আগে স্থাপন ও চালুর জন্য আবেদিত সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ বাস্তবায়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি যুদ্ধ বিষান্ত দেশে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় প্রথমে ৩২ হাজার ও পরবর্তীতে বাদ পড়া আরও ৪৩২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে দেশকে প্রাথমিক শিক্ষার অভিশাপ থেকে মুক্ত করেন। দীর্ঘ ৪০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর তার উত্তরসূরী হিসেবে শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় ২৬১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদেরকে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে বঙ্গবন্ধু মতো আরো একটি ইতিহাস রচনা করেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় জাতীয়করণকালীন যে পরিসংখ্যান করা হয়েছিল তা সঠিক না হওয়ায় আরো জাতীয়করণযোগ্য উপজেলা, জেলা হতে যাচাই-বাছাইকৃত ২০১২ সালের ২৭ মে আগের আবেদিত সকল বিদ্যালের জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়নি। আমরা বিশ্বাস করি ওই সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো অবিলম্বে জাতীয়করণ করা হবে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, এর আগে আমরা জাতীয়করণের জন্য ২০১৮ সালে ১৮ দিন ও ২০১৯ সালে ৫৬ দিন ২০২১ সালে ৭ দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান অনশন কর্মসূচি পালন করেছি। তখন অতিরিক্ত সচিব আকরাম আল হোসাইনসহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধি দল এসে আমাদের জাতীয়করণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ অবস্থায় অবশিষ্ট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের আওতায় এলে দেশের লাখ লাখ কোমলমতি শিক্ষার্থীর পাঠদান ও সেই সঙ্গে বেকারত্ব দূর হবে। অবিলম্বে অবশিষ্ট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ ও কর্মরত শিক্ষকদের সরকারি করণের সুস্পষ্ট নির্দেশনা চাই।