| |
               

মূল পাতা সারাদেশ মহানগর ‘ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করলে এই অঞ্চলের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে’


‘ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করলে এই অঞ্চলের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে’


রহমত নিউজ ডেস্ক     27 August, 2023     11:01 AM    


বহুমাত্রিক যোগাযোগ বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের জন্যই আশীর্বাদ। গত ১০ বছরের দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য অনেক বেড়েছে এবং তা আরো বাড়ানো সুযোগ রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পূরক অর্থনীতির প্রয়োজন রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশকে ট্রেড, ট্রানজিট এবং ট্যুরিজমের ওপর জোর দিতে হবে। মাল্টিলেভেল কানিক্টিভিটির ব্যাপারে আমাদের ভাবতে হবে। ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করলে এই অঞ্চলের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে।

শনিবার (২৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ ও উন্নয়ন সমন্বয়র যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও কানেক্টিভিটি : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা।

অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণ থেকে জনগণের (পিটুপি) মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে কানেক্টিভিটির দীর্ঘমেয়াদি তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা  বলেন, একটি সমন্বিত ভূগোল এবং অভিন্ন ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে সংযোগের সুযোগ এবং গুণমান বৃদ্ধি একটি সাধারণ আকাঙ্ক্ষা, পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের চালিকাশক্তি।সড়ক ও রেল, অভ্যন্তরীণ নৌপথ, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, জ্বালানি ও ডিজিটাল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে দু'দেশের মধ্যে ভবিষ্যত সংযোগ গড়ে তোলা হবে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভৌগোলিক নৈকট্যকে শক্তিশালী কানেক্টিভিটি উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন অর্থনৈতিক সুযোগে রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের যৌথ আত্মত্যাগের শিকড় বলে বর্ণনা করে তিনি জোর দিয়ে বলেন, দুই দেশের মধ্যে সংযোগের উদ্যোগগুলোও পারস্পরিক সহানুভূতি এবং পারস্পরিক নির্ভরশীলতার একই চেতনা দ্বারা পরিচালিত হয়। যা আমাদের জনগণ এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের কল্যাণ ও মঙ্গলকে কেন্দ্র করে।

সেমিনারে ড. আতিউর রহমান বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহগুলো সম্পন্ন হলে বদলে যাবে চট্টগ্রাম। তবে শুধুমাত্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেই হবে না তা সমন্বয় করতে হবে। এই সমন্বয়ের জন্য কো-অর্ডিনেটিং টাস্কফোর্স করা যায় কি-না সেটা ভেবে দেখা দরকার। অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রম দরকার। ফরোয়ার্ড এবং ব্যাংকওয়ার্ড লিংকেজ করতে হবে। বাংলাদেশ ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তুলছে। কিন্তু ভারত এর চেয়ে আরও বেশি সমন্বয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল অবকাঠামো সমৃদ্ধ করেছে। ভারতের মতো আমাদেরও ডিজিটাল অবকাঠামো গড়তে হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সিংক্রোনাইজড করতে হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, সেবার মান বৃদ্ধির জন্য মাস্টারপ্ল্যান করেছি, আমাদের গভীর সমুদ্রবন্দর মাতারবাড়ি ২-৩ মাসের মধ্যে চালু হবে। ভারতের সেভেন সিস্টার্স ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচন করবে। চট্টগ্রাম বন্দর সবার জন্য উন্মুক্ত, এখানে যে কোনো দেশ ব্যবহার করতে পারে। আমরা সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত আছি।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধে তুলে ধরা হয়, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চট্টগ্রাম হলো হৃদস্পন্দন। বাংলাদেশের আমদানি ৯০ শতাংশ এবং রপ্তানির ৮৫ শতাংশ হয় চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিরিন আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাই-কমিশনার ড. রাজীব রঞ্জন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যন জহিরুল আলম দোভাষ, বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ঐতিহ্য পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার রুহুল আমীন, চট্টগ্রাম সিটি করর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদুল আলম সুজন, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ প্রমুখ।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম