রহমত নিউজ ডেস্ক 19 August, 2023 01:55 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুইটি ধারা বিভক্ত। একটি হলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আওয়ামী লীগ এবং অন্যটি হচ্ছে প্রতিক্রিয়াশীল যা কখনো জাসদের নেতৃত্বে কখনো এরশাদের নেতৃত্বে কখনো জিয়াউর রহমান কিংবা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। স্বাধীনতা পরবর্তী অদ্যাবধি পর্যন্ত দেশের রাজনীতিতে নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগের ভাষায় এই প্রতিক্রিয়াশীলরা অনিয়ম করে ক্ষমতা ভোগ দখল করে। আবার বিএনপির ভাষায়ও ২০১৪ ও ২০১৮ তে আওয়ামী লীগ অনিয়ম করে ক্ষমতা দখল করে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমি আবদুল কাদের মির্জা। জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন প্রতিনিধি। দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। রাজনীতির ময়দানে অনেক গুঞ্জন, আলোচনা, পালটা আলোচনা চলছে। দেশের ক্ষমতার মৌলিক ও প্রধান উৎস যে জনগণ, আমি আজ সেই জনগণের কথা বলবো। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে জনগণের প্রতীকী রায় উপস্থাপন করবো। আওয়ামী লীগ আরো দুই মেয়াদে ক্ষমতা থাকবে বলে জনগণ মনে করে। দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পর দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির অধীনে একটি গণভোট করে কোন ব্যবস্থায় নির্বাচন হবে তা জনগণ নির্ধারণ করবে। এটা হচ্ছে জনগণের সিদ্ধান্ত।
তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে ক্ষমতায় যায় বিএনপি। পাঁচ বছর ক্ষমতা শেষ হওয়ার পর নানান নাটকীয়তায় যায় বাংলাদেশের রাজনীতি। অতঃপর সকল জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় ২০১১ সালের ১০ মে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিলের রায় দেয় এবং রায় অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধান সংশোধন করা হয়। বাংলাদেশের নির্বাচনের এই ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় আওয়ামী লীগের ভাষায় বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রতিক্রিয়াশীলরা দীর্ঘ ২১ বছর অনিয়ম করে ক্ষমতার ভোগ দখল করেছিল। আর বিএনপির ভাষা ২০১৪ ও ২০১৮ নির্বাচনে অনিয়ম করে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। তাহলে ২১ বছরের ১০ বছর বাদ দিলেও আর ১০ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে। নিয়ম বা অনিয়মের ভিতর আরো দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা যুক্তিযুক্ত বলে জনগণ মনে করে।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ