রহমত নিউজ ডেস্ক 03 August, 2023 11:02 AM
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সহিষ্ণু স্থিতিস্থাপক কৃষিভিত্তিক শিল্পের বিকাশ নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব প্রশমিত করতে কৃষি এবং নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সময় কৃষি ল্যান্ডস্কেপে কৃষি বনায়ন অনুশীলনকে একীভূত করা জলবায়ু সহিষ্ণুতা এবং স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করতে পারে। জলবায়ু অভিযোজন লক্ষ্য অর্জনের জন্য বেসরকারী খাত, সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করতে হবে।
বুধবার (২ আগস্ট) ঢাকায় হোটেল শেরাটনে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘জলবায়ু অভিযোজন: বাংলাদেশে কৃষিভিত্তিক শিল্পের উন্নয়ন সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে আজাদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মো. খুরশিদ আলম এবং ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ নুর খোন্দকার, স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয় প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, কৃষিভিত্তিক শিল্পে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সকল স্টেকহোল্ডারদের যেমন এক সঙ্গে কাজ করতে হবে তেমনি উদ্ভাবনী অংশীদারিত্ব অন্বেষণও করতে হবে। জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থা, কৃষি এবং নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, কৃষি বনায়ন, কৃষি-আবহাওয়া পূর্বাভাস এবং স্থিতিস্থাপক অবকাঠামোতে বেসরকারী খাতের সম্পৃক্ততার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এনএপি-তে চিহ্নিত অভিযোজন কর্মগুলির মধ্যে একটি হল জলবায়ু-সংবেদনশীল শস্য জোনিংয়ের ওপর ভিত্তি করে কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের বিকাশ। এই উদ্যোগ আমাদেরকে নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্য উপযুক্ত ফসল নির্বাচন করতে, পরিবর্তিত জলবায়ু বিন্যাস বিবেচনা করে এবং দেশের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিদ্ধান্ত গ্রহনে সক্ষম করবে। এই ধরনের শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যায় এবং কৃষি পণ্যের মূল্য সংযোজন করে অর্থনীতিকে শক্তিশালীও করা যায়।