| |
               

মূল পাতা জাতীয় যাচাই-বাছাই করেই ডিসি নিয়োগ দেয়া হয় : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী


যাচাই-বাছাই করেই ডিসি নিয়োগ দেয়া হয় : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     31 July, 2023     09:55 AM    


জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, কিছু কর্মকর্তাকে ডিসি হিসেবে পদায়নের পর তুলে নেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মাঠ প্রশাসন দেখে, তারা বিষয়গুলো যাচাইবাছাই করে। একজন মানুষকে যখন ডেস্কে কাজ করতে দেখেন, তার এক ধরনের পারফরমেন্স থাকে; মাঠের কাজের ধরন কিন্তু ভিন্ন রকম। যাচাই-বাছাই করেই ডিসি নিয়োগ দেয়া হয়। এদের সংখ্যা কিন্তু কম, দুই-একজন বিভিন্ন কারণে ফেইল করে। তারা হয়তো ওখানে গিয়ে অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে পারছেন না। অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে যেটা আমাদের অনেক সময় এম্বারেসও করে। সেসমস্ত ক্ষেত্রে আমরা তুলে নিয়েছি।

রবিবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামর (বিএসআরএফ) উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ -এ অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের জেলা প্রশাসক নিয়োগে বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। 

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চেয়েছি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন, যাতে করে আমাদের কর্মকর্তারা চমৎকারভাবে কাজ করতে পারেন এবং একই সঙ্গে কিন্তু আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে চালিয়ে নিতে পারেন। যাদের তুলে নেওয়া হয়েছে তাদের ২০ জন ছিলেন ২২ ব্যাচের। আশা করছি এ মাসের মধ্যেই তারা যুগ্ম সচিব হয়ে যাবেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে কিছু অভিযোগ ছিল, অভিযোগগুলো দেখে মনে হয়েছে সেটা রাখা ঠিক হবে না। জনমনে বেশকিছু অস্বস্তি আছে সেজন্য আমরা তুলে নিয়েছি। দু’একজন তুলেছি মনে হয়েছে তারা ডেস্কে যেভাবে কাজ করেছেন ওখানে গিয়ে সেভাবে পারছেন না। নিয়মের বাইরে, আইনের বাইরে, বিধিবিধানের বাইরে কিন্তু কোনো কিছু করিনি। ডিসি কিন্তু একদিনে হয় না। মাঠ প্রশাসনে তাদের দুই বছর কাজ করতে হয়। প্রশাসনের ভারমূর্তি প্রতিনিয়তই উন্নত হচ্ছে, ভালো হচ্ছে, এই ভাবমুর্তি উন্নয়ন হওয়ার গতিধারা সেটা যেন ঠিক থাকে সেজন্য আমরা এই কাজগুলো করে থাকি। যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের কতটুকু প্রশিক্ষিত করেছি সেটা অনুযায়ী তাদের পদায়ন করে থাকি। সেজন্য একথা বলার কোনো স্কোপ নেই, কারণ রাতারাতি কেউ ডিসি হয় না। আমি চাইলেই পলিটিক্যাল কাউকে ডিসি করতে পারব না।  

তিনি আরো বলেন, সরকারের পলিসি রয়েছে, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আমরা উপহার দিতে চাই। সেটার জন্য আমরা বদ্ধ পরিকর। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে সেটি ব্যক্ত করেছেন। আমরা কিন্তু সেদিকে যাচ্ছি। সেটির জন্য কিন্তু সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া আছে যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো অতিকথন বলা যাবে না, যেটি কিনা প্রশাসনে ঝামেলার সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সুন্দরভাবে আপনারা কাজ করবেন। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনার যেভাবে চাইবেন সেভাবে চলবে। আমাদের তরফ থেকে আমরা একটি নির্বাচন সুন্দর করার জন্য যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার ততটুকু করছি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের পিএস নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। বেছে-বেছে সেরা অফিসারদের সেখানে দেওয়া হয়েছিল। ভালো কর্মকর্তাদের ডিসি করা হচ্ছে। এখানে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি।