রহমত নিউজ ডেস্ক 18 July, 2023 03:44 PM
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, বর্তমান সরকার ১৫ বছর ধরে অবৈধভাবে নিশিরাতের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আছে। যার কারণে জনগণের কাছে তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাদের অব্যবস্থা ও দুর্নীতির কারণে মানুষ চরম বেকায়দায় আছে। সমাজে দুর্নীতি, অরাজকতা, অত্যাচার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। দেশকে বসবাসের অযোগ্য করে ফেলেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর পূর্ব পান্থপথস্থ এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এলডিপি আয়োজিত পদযাত্রা শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১১টায় রাজধানীর পূর্বপান্থপথস্থ এফডিসি সংলগ্ন এলডিপির কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়। মগবাজার, মালিবাগ, কাকরাইল, নয়াপল্টন হয়ে মতিঝিলে গিয়ে শেষ হয়। পদযাত্রায় এলডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য ডক্টর নেয়ামূল বশির, ডক্টর আওরঙ্গজেব বেলাল, অ্যাডভোকেট এসএম মোরশেদ, অধ্যক্ষ সাকলায়েন, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলু, প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান মাহবুব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজগর বাবু, সহদপ্তর ওমর ফারুক সুমন, ঢাকা মহানগর পূর্ব এলডিপি’র সভাপতি মো. সোলায়মান, পশ্চিম এলডিপি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাদাত হোসেন মানিক, উত্তর এলডিপি’র সাধারণ সম্পাদক অবাক হোসেন রনি, গণতান্ত্রিক ওলামা দলের সভাপতি মুফতি মাওলানা সাদিকুর রহমান, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান প্রমুখ অংশ নেন।
কর্নেল অলি বলেন, গতকাল বনানীতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হিরো আলমের ওপর যেভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে তাতে মনে হয় তারা উন্মাদ হয়ে গেছে। তাদের কাছে ন্যায় বিচার, সমান আচরণ ও সুষ্ঠু ভোট আশা করা যায় না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর কারণে দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী, এখন অনেকের জীবন-সংগ্রাম আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে দেশ ধ্বংসের পথে। এ থেকে উত্তরণে এই সরকারকে হটানোর বিকল্প নেই। সরকারের মদদপুষ্ট দুর্নীতিবাজরা ব্যাংক থেকে ৪ লক্ষ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। দেশ থেকে প্রায় ১১ লক্ষ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এতে সরকারের মদদে হয়েছে। এর সঙ্গে তারা জড়িত। দেশের জনগণ এক অনিশ্চয়তায় ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ও সংঘাত এড়াতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।