রহমত নিউজ ডেস্ক 16 July, 2023 07:57 AM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি এখন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করছে। এখন বিএনপির নেতাদের কথাবার্তা শুনে বোঝা যাচ্ছে, তারা খারাপ দিকে যাবেন না। তারা অবরোধ, হরতাল বা নাশকতা ও সন্ত্রাসের দিকে আর যাবেন না। অতীত থেকে তারা শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। ২০১৪ সালে নির্বাচনে না এসে নাশকতা করে যে ভুল তারা (বিএনপি) করেছেন ও ২০১৮ সালে নির্বাচনে এসেও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে কাজটি তারা করেছেন, সেখান থেকে তারা অনুধাবন করেছেন তারা ভুল করেছেন। তারা সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ভবিষ্যতে নাশকতা, সন্ত্রাসের পথে না হাঁটলে ভালো। তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করুক, আমরা রাজনৈতিকভাবে এর মোকাবিলা করব। আর সন্ত্রাসের পথে হাঁটলে, নাশকতা করতে চাইলে তাদের খবর আছে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এর মোকাবিলা করব।
শনিবার (১৫ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুনের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি এডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট কাজী মো. নজিবুল্লাহ্ হিরু, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবদুল্লাহ আবু, ঢাকা বার শাখার সাবেক সভাপতি এডভোকেট শেখ হেমায়েত হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আইন সম্পাদক এডভোকেট জগলুল কবির ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আইন সম্পাদক এডভোকেট আনিসুর রহমান।
কামরুল ইসলাম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের যে উন্নয়ন করেছেন, সেই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য আমরা আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও আমাদের নেত্রীকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চাই। এর জন্য আমরা এখন থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করব, কাজ করব। পাশাপাশি দেশদ্রোহী, ঘাতকদের দল, সন্ত্রাসীদের দল, বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে আমরা সজাগ থাকব। বিএনপি অনেক কথা বলে। তাদের নাকি স্পেস দেয়া হয় না। কিন্তু যে রকম নির্যাতন-নিপীড়ন আমরা সহ্য করেছি, সেটা তারা করেননি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে তিনবারের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। ১৫ বছর আগে দেশের কি পরিস্থিতি ছিল, আজকে কি অবস্থায় আছে একটু বিবেকের কাছে প্রশ্ন করবেন। একাত্তরের ঘাতক, বিএনপি, জামায়াত আজকে দেশের সমস্ত উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে চায়, তারা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিরুদ্ধে গিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতা করছেন। সরকার বিরোধিতার নামে রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরোধিতাসহ রাষ্ট্রযন্ত্রকে বিকল করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি দেশের মানুষের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্না দিয়েছে, যে বাসনা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ প্রতিনিধিদের ঢাকায় এনেছিলেন, সেই বাসনা তাদের পূর্ণ হয়নি। বিদেশিরাও এখানে এসে প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে বুঝতে পেরেছেন, অনুধাবন করেছেন, একটি সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন- নির্বাচন কমিশন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করবে। অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সবদিক দিয়ে সহযোগিতা করবে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য, কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার করবে না। প্রধানমন্ত্রী বারবার এ অঙ্গীকার করেছেন। আজকে বিদেশি যারা এসেছেন, তারা বুঝতে পেরেছেন, সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বদ্ধ পরিকর। বিএনপি নির্বাচনে আসবে না। এরা সরকারকে পদত্যাগ করতে বলে। পদত্যাগ করার তো কোনো প্রশ্নই উঠে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো প্রশ্নই উঠে না। কারণ ২০০৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ছিল। এমন অনির্বাচিত সরকারের বাংলাদেশে আসার কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে যারা জয় লাভ করবে, সেই সরকারের কাছে, সেই দলের নেতার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী। এটিই সংবিধানের কথা। এর আগে পদত্যাগ করার প্রশ্নই উঠে না। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না।