অ্যাম্বুলেন্সে প্রাইভেট কারের কর নেয়া বন্ধ না হলে ধর্মঘটের হুমকি

সেবাখাতের অ্যাম্বুলেন্সকে প্রাইভেটকারের আয়কর নেয়া বন্ধ না হলে ৬ দফা দাবিতে ২৫ জুলাই থেকে ধর্মঘটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে ৬ দফা দাবি জানানো হয়- ১. সেবাখাতে বিআরটিএ কর্তৃক অ্যাম্বুলেন্সে এ প্রাইভেট কারের মতো আয়কর (এটিআই) নেয়া চলবে না। ২. অনতিবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য জাতীয় নীতিমালা করতে হবে। ৩. অবিলম্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত টোল ফ্রি বাস্তবায়ন চাই। ৪. দেশের প্রত্যেকটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের পার্কিং সুবিধা চাই। ৫. রোগী থাকা অবস্থায় প্রতিটি পাম্পে সিরিয়াল ছাড়া তেল এবং গ্যাস নিতে চাই। ৬. সড়কে হয়রানি মুক্ত পথ চলতে চাই।

তারা বলেন, নানা দুর্যোগে দুঃসময়ে আমরা মানুষের পাশে থাকলেও বিভন্ন সময়ে নানা সমস্যা নিয়ে মুখ বুঝে সহ্য করে আসছি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়েই ধর্মঘটে যাবার কথা ভাবতে হচ্ছে। করোনা মহামরির সময় দেশের মানুষ যখন জীবন বাঁচাতে ঘরে নিরাপদে অবস্থান করেছে। মৃত্যভয় উপেক্ষা করে জীবনের ঝুকি নিয়ে আমাদের সহকর্মীরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে দিয়ে গেছে অ্যাম্বুলেন্স সেবা। করোনা সংক্রমনের ভয়ে পরিবার প্রিয়জনকে ঘরে রেখে আমাদের সহকর্মীদের থাকতে হয়েছে হোটেল কিংবা গাছতলায়।  রানা প্লাজা দুর্ঘটনা কিংবা চুড়িহাট্টা, সোহরাওয়ার্দী হাসাপাতালে আগুন, চট্টগামের বিএম কন্টেইনার ডিপুতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে শুরু করে দেশের যে কোন দুর্যোগ দুঃসময়ে অ্যাম্বুলের কর্মীরা অতন্ত্র প্রহরীর মতো সেবা দিয়ে যেতে কার্পণ্য করেনি। কিন্তু এর বিনিময়ে কোনদিন প্রতিদান চাইনি। 

তারা আরো বলেন, তারা জাপান থেকে অ্যাম্বুলেন্স আমদানি করেন অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে। বিআরটিএ রেজিস্ট্রেশন করেন অ্যাম্বুলেন্স হিসেবেই, অথচ আয়কর দেয়ার সময় দিতে হয় প্রাইভেট গাড়ী হিসেবে। হাসপাতাল এবং ট্রাস্টি বোর্ডের অ্যাম্বুলেন্স এর ক্ষেত্রে আয়কর নেয়া হয় মাত্র ৫২ টাকা অথচ বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে অতীতে নেয়া হতো ৩০ হাজার টাকা, এবছর থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়া হবে বলে জানতে পেরেছি। সেবাখাতে একই দেশে দুই ধরনের আইন কি করে হয় সেটা আমাদের বোধগাম্য নয়। সেবার ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা এমন সিদ্ধন্ত প্রত্যাহারের জোড় দাবী জানান তরা।  মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলো অ্যাম্বুলেন্স টোল ফ্রি থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রায় ২ বছর পার হয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি অদৃশ্য কারণে। টোল ট্যাক্স অ্যাম্বুলেন্স এর নেয়া হলেও মানি রিসিট দেয়া হয় মাইক্রোবাসের। দীর্ঘদিন থেকে জাতীয় নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে ঘুরেও আমরা এর কোনো প্রতিকার পাইনি। জাতীয় নীতিমালার দাবীতে ৬৪ জেলায় মানবন্ধন করা হলেও হয়নি সুরাহা। উচ্চ আদালতে একটি রিট করা হলেও সমাধান হয়নি।

এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা ঢাকা