| |
               

মূল পাতা স্বাস্থ্য যে ৫ বদভ্যাসে কোমরে ব্যথা হয়


যে ৫ বদভ্যাসে কোমরে ব্যথা হয়


অধ্যাপক ডা. আলতাফ সরকার     09 July, 2023     10:02 AM    


বর্তমানে পিঠে বা কোমরে ব্যথা প্রচলিত সমস্যা। দীর্ঘ সময় কম্পিউটার, ডেস্কটপে বসে কাজ করা কোমর ব্যথা বাড়িয়ে দেওয়ার একটি বড় কারণ। এ ছাড়া পিঠ বা কোমর ব্যথা বাড়ানোর রয়েছে আরও অনেক কারণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বসার ভুলভঙ্গির কারণে কোমরে বা পিঠে ব্যথা হয়। পাশাপাশি ভুলভঙ্গিতে বসার কারণে শ্বাসকষ্ট, বদ হজম, সারকুলেটরি সিস্টেম এবং শারীরিক নানা জটিলতা দেখা দেয়। দৈনন্দিন জীবনের কয়েকটি বদভ্যাসের কারণে কোমরে ব্যথা হয়। যেমন–

পেছনের হিপ পকেটে মানিব্যাগ ব্যবহার করা : পেছনের পকেটে মানিব্যাগ ব্যবহার করলে পেলভিস টুইস্ট হয়। এতে পাইরিফরমিস মাসেলের ওপর চাপ পড়ে। ফলে সায়াটিকা, পাইরিফরমিস সিনড্রোম এবং কোমর ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

কাঁধে ভারী ব্যাগ বহন করা : আজকাল অনেকেই কাঁধে ভারী ব্যাগ বহন করেন। ব্যাগে ওয়ালেট, মোবাইল ফোন, নোট বুক, আইপেড, মেকআপ বক্স, ল্যাপটপসহ নানা প্রয়োজনীয় জিনিস থাকে। বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও ভারী স্কুলব্যাগ বহনের কারণে পিঠের ব্যথায় ভোগে। গবেষকরা বলছেন, শিশুরা তার ওজনের ১৫ শতাংশের অধিক ওজন কাঁধে বহন করবে না । এতে তাদের মধ্যে টেনশন হেডেক, কাঁধে ব্যথা, ফরোয়ার্ড হেড পোশ্চার ইত্যাদি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

সঠিক জুতা ব্যবহার না করা : বর্তমানে অনেক নারীই উঁচু হিল পরেন। এতে ওয়াকিং গেট অর্থাৎ হাঁটার ভঙ্গি পরিবর্তন হয়। সঠিক ভঙ্গিতে না হাঁটার ফলে কোমর, হিপ, হাঁটু এবং পায়ের গোড়ালির  ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ফলে কোমর, হাঁটু ও পায়ের গোড়ালি ব্যথা হয়।

দীর্ঘ সময় বসে থাকা : গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা প্রতিদিন গড়ে ১০ ঘণ্টা বসে থাকি। আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোক তাঁর জীবনের ৫০-৭০ শতাংশ সময় বসে কাটান। দীর্ঘ সময় বসার ফলে কোমরের অর্থাৎ লামবারের লোরডোটিক কার্ভ কমে যায়, মেরুদণ্ডে সেন্টার অব গ্রাভিটি পরিবর্তনের ফলে স্পাইনের ওপর চাপ পড়ে। স্পাইনের ওপর চাপ পড়ার কারণে ডিক্সে চাপ পড়ে এবং কোমর ব্যথা হয়।

ঠিকভাবে এক্সারসাইজ না করা : অনেকেই না জেনে বিভিন্ন ধরনের এক্সারসাইজ করেন। অথচ অনেকেই জানেন না কোন ধরনের এক্সারসাইজ কার জন্য ঠিক, কার জন্য ঠিক নয়। সে ক্ষেত্রে কোনো এক্সারসাইজ করার আগে অবশ্যই একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎকের পরামর্শ নিতে হবে।

লেখক : মাস্কুলোস্কেলিটাল ডিজঅর্ডারস বিশেষজ্ঞ