তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১৯ জুন) সকাল ৬টার দিকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপৎসীমার দশমিক ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিমাপক নূরুল ইসলাম বলেন, কদিন থেকে পানি কমছে আবার বাড়ছে। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়িতে পানি উঠেছে। ফসলের ক্ষেত ডুবে যেতে শুরু করেছে।

ডিমলা উপজেলার ছাতনাই এলাকার সিয়াম বলেন, কদিন থেকে আতঙ্কে ছিলাম। আজ তো দেখতেছি পানি ঢুকছে। জানিনা পরে কী হবে। প্রতিবার তো আমরা ডুবে যাই।

একই ইউনিয়নের তেলির বাজার এলাকার মোস্তফা বলেন, রাত থেকে হঠাৎ পানি বাড়ছে। আমাদের বাড়িতে উঠে গেছে। আপাতত গরু-ছাগল নিয়ে দৌড়ের ওপর আছি।

চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একরামুল হক বলেন, সোনাখুলির দিকে কিছু ফসল ডুবেছে। গতবার আমার এলাকার অনেক মানুষের ক্ষতি হয়৷ এবার কি হবে জানি না।

টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জাগো নিউজকে বলেন, এলাকার বিভিন্ন স্থানে পানি প্রবেশ করেছে৷ এলাকাগুলোতে সবসময় খোঁজ-খবর রাখছি।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ফলে ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। বন্যা মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।

এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: রংপুর নীলফামারী নীলফামারী সদর