বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না : জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনোভাবেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না। এটার পরিবর্তন দরকার আছে। তবে পরিবর্তনটা কীভাবে হবে সেটার জন্য সব দলমত মিলিত হয়ে আলোচনা করে একমত হতে হবে। বর্তমান যে শাসন পদ্ধতি তাতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেশের শতভাগ ক্ষমতা ন্যস্ত করা আছে। কাজেই এখানে মন্ত্রীপরিষদসহ সবকিছু পরিবর্তন হলেও এটা খুব একটা গুণগত পরিবর্তন হবে না। 

মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে শেরপুর সার্কিট হাউসে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান রহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি ও কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, মোস্তফা আল মাহমুদ, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ইলিয়াছ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম ঠান্ডাসহ দলের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে শহরের চকবাজারস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা জাতীয় পার্টির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন জি এম কাদের। এর আগে তিনি সার্কিট হাউজ পৌঁছালে তাকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মনিরুল হাসান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

জিএম কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ভিসানীতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়ক হবে। বাংলাদেশে সুষ্ঠু একটা নির্বাচন যাতে হয় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি ব্যবস্থা নিয়েছে। তাদের দেশের ব্যাপারে এই অধিকার তাদের আছে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের সে দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তারা তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভিসা নীতিতে যা বলা হয়েছে তা দেশ ও জনগণের পক্ষেই যায়। আমরা তাই আমরা এই ভিসা নীতি সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করি।

তিনি আরো বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সবাই চায়। আমরা দেশের মানুষের কল্যাণের জন্যই কাজ করছি। আগামী নির্বাচনে কীভাবে নির্বাচন করব সেটা দলগতভাবে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা, সেটা পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। আমাদের নীতিনির্ধারণী যারা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে, দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।