| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল জাতীয়করণের দাবিতে ৩ দিন ধর্মঘটের ঘোষণা বিটিএর


বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল জাতীয়করণের দাবিতে ৩ দিন ধর্মঘটের ঘোষণা বিটিএর


রহমত নিউজ ডেস্ক     06 June, 2023     08:40 PM    


মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের দাবিতে আগামী ১১ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত তিনদিন ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। এছাড়া আগামী ১৩ জুন প্রত্যেক জেলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশসহ বেশ কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পাসের আগেই জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দিলে আগামী ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিটিএর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেম ও সিনিয়র সদস্য রঞ্জিত কুমার সাহা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়- দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর দ্বারা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পাই। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই অ্যাকাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।  এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে প্রদান করা হয়। তাছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল প্রদান না করার ফলে উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান। সে কারণে সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি (ইউনেস্কো) ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইও) অনুমোদিত ১৪৬টি সুপারিশ সম্বলিত শিক্ষকদের মর্যাদা বিষয়ক সনদের সুপারিশ অনুযায়ী, শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ অথবা জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দের কথা উল্লেখ রয়েছে। তবুও ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১১.৯২ শতাংশ অথবা জিডিপির ১.৮৩ শতাংশ। অথচ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ কমিয়ে জাতীয় বাজেটের ১১.৫৭ শতাংশ অথবা জিডিপির ১.৭৬ শতাংশ করা হয়েছে। তাই ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ জাতি আজ চরমভাবে ক্ষুব্ধ।

কাওছার আহমেদ বলেন,  বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। অনেক শিক্ষক/কর্মচারী টাকা পাওয়ার আগেই অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। তাছাড়া কয়েক বছর যাবৎ কোনো প্রকার সুবিধা না দিয়েই অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত অমানবিক। তাই অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ অবসর সুবিধা বোর্ড এবং কল্যাণ ট্রাস্ট অফিস ঘেরাও করতে বাধ্য হয়েছিলাম। পরিতাপের বিষয় আজ পর্যন্ত কোনও প্রতিকার পাইনি। এক ধাপে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করতে হবে সেটা আমরা চাই না। আমরা চাই জাতীয়করণের ঘোষণা। এরপর ধাপে ধাপে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করলেও চলবে।