| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল প্রস্তাবিত বাজেট ঋণনির্ভর ও অন্ত:সারশূণ্য : খেলাফত মজলিস


প্রস্তাবিত বাজেট ঋণনির্ভর ও অন্ত:সারশূণ্য : খেলাফত মজলিস


রহমত নিউজ     01 June, 2023     10:20 PM    


 

জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ঋণনির্ভর ও অন্ত:সারশূণ্য অখ্যায়িত করেছে খেলাফত মজলিস।  আজ জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী কর্তৃক উত্থাপিত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে গণবিরোীধ বাজেট হিসেবে অভিহিত করে খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ঋণনির্ভর এ বিশাল ঘাটতি বাজেটে সাধারণ জনগণের কোন কল্যাণ হবে না। প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত এ বাজেটে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বিশাল অংকের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি মেটাতে দেশ-বিদেশ থেকে চড়া সূদে ঋণ নিতে হবে সরকারকে। বিশেষকরে দেশীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সরকার ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নিবে। এতে বেসরকারি ও ব্যক্তিগত খাতে বিনিয়োগ বাঁধাগ্রস্থ হবে। বিদেশ থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। বাজেট ব্যয়ের বিশাল অংশ খরচ হবে ঋণের সুদ পরিশোধে। বাজেট ব্যয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তর খাত হচ্ছে সুদ পরিশোধ। পরিচালন ব্যয় ও সুদ পরিশোধের মত অনুন্নয়ন খাতেই ব্যয় হবে বাজেটের অধিকাংশ অর্থ। আর প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও বাস্তব সম্মত নয়। ঋণ নির্ভর বাজেটের কারণে জনগণের উপর জাতীয় ঋণের বোঝা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ সংকটের নিপতিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দেশের রিজার্ভের পরিমানও দিন দিন কমে যাচ্ছে। 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে জনগণ দিশেহারা। প্রস্তাবিত এ বাজেট দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি রোধে কোন ভূমিকা রাখবে না, বরং নতুন করে বহু জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। গৃহস্তালীর জিনিসপত্র, কলম-সহ শিক্ষা সমাগ্রী, পেট্রোল, অকটেন, ডিজেলের দাম বাড়বে। বিশাল বাজেটে করের আওতা ও হার বাড়ানো হয়েছে। বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী করমুক্ত আয়সীমার নীচে আয় থাকলেও টিআইএনধারী সবাইকে ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে। অথচ সকল টিআইএনধারীর কর দেয়ার সামর্থ নেই। দিন শেষে জনগণকেই সব করের বোঝা বহন করতে হবে।    

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ, বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরৎ আনা, মূল্যস্ফীতি রোধ ও প্রস্তাবিত বাজেটে আরোপিত সব ধরণের বর্ধিত কর প্রত্যাহারের দাবী জানান।