| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘ভোমরা স্থলবন্দরের ডিজিটালাইজেশন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে’


‘ভোমরা স্থলবন্দরের ডিজিটালাইজেশন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে’


রহমত নিউজ ডেস্ক     29 May, 2023     09:46 PM    


নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, ভোমরা স্থলবন্দরের সকল কার্যক্রম ম্যানুয়াল পদ্ধতি হতে ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তর এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘ডিজিটালাইজেশন অব দ্যা বর্ডার প্রসিডিউরস এ্যাট ভোমরা ল্যান্ডপোর্ট’ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ গ্লোবাল এলাইয়েন্স ফর ট্রেড ফেসিলিটেশন-জিএটিএফ’র অর্থায়নে এবং সুইস ফাউন্ডেশন ফর টেকনিক্যাল কোঅপারেশন-সুইসকন্টাক্ট’র সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। ভোমরা স্থল বন্দরের ডিজিটালাইজেশন স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।

আজ (২৯ মে) সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ডিজিটালাইজেশন অব দ্যা বর্ডার প্রসিডিউরস এ্যাট ভোমরা ল্যান্ডপোর্ট’ শীর্ষক প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, সুইস ফাইন্ডেশন ফর টেকনিক্যাল কোঅপারেশন-সুইসকন্টাক্ট’র পরিচালক মিজ স্টিফানি ড্রিফাস, গ্লোবাল এলাইয়েন্স ফর ট্রেড ফেসিলিটেশন-জিএটিএফর পরিচালক ফিলিপ আইলার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান এবং প্রকল্প পরিচালক ডি এম আতিকুর রহমান।

অনুষ্ঠানে স্থলবন্দরের ফ্যাসিলিটি চার্জসহ অন্যান্য চার্জ ‘একপে’র মাধ্যমে গ্রহণ করার লক্ষ্যে এটুআই প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে পারস্পারিক সমঝোতা স্মারকপত্র স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া স্থলবন্দরের ফ্যাসিলিটি চার্জসহ অন্যান্য চার্জ 'বিকাশ'  কিউআর কোডের মাধ্যমে মাধ্যমে গ্রহণ করতে ‘বিকাশ’ ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে পৃথক আরো একটি পারস্পারিক সমঝোতা স্মারকপত্র স্বাক্ষরিত হয় এবং আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভ্রমণকারী ও পর্যটকদের উন্নত সেবা প্রদান এবং ভ্রমণ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে একটি 'হেল্প ডেস্ক' প্রতিষ্ঠা করতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং 'টুয়েলভ ইভেন্টস এমজিএ'র মধ্যে পারস্পারিক চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিপত্রগুলোতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো.আলমগীর, এটুআই প্রোগ্রামের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক  ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ‘বিকাশ’ লিমিটেডের এডভাইজার মো.আব্দুল আজিজ খান এবং 'টুয়েলভ ইভেন্টস এমজিএ'র পক্ষে ম্যানেজিং পার্টনার উইং কমান্ডার এ টি এম নজরুল ইসলাম স্বাক্ষর করেন।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বন্দরের সকল সেবা স্মার্ট গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে পরিচালিত হবে এবং সকল সেবা গ্রহীতা হবেন স্মার্ট সিটিজেন। আমাদের সকল নাগরিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধমে বন্দরে সেবা গ্রহণ করবেন। এতে করে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। প্রকল্পটির মেয়াদ চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সাত কোটি টাকা ব্যয় হবে। এ টাকা মঞ্জুরি হিসেবে পাওয়া যাবে। ভোমরা স্থলবন্দরের ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক, সমৃদ্ধশালী এবং উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্থলপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সঠিক দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে প্রযুক্তি নির্ভর বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপিত হলো।