রহমত নিউজ ডেস্ক 29 May, 2023 07:09 PM
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আমরা চাপের মধ্যে আছি এ কথা অস্বীকার করার কিছু নেই। আবার আমরা বসেও নেই। সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে। বিশ্বের যেসব দেশ যুদ্ধকে কেন্দ্র করে তেল-গ্যাসের ব্যবসা করতে পেরেছে, তারা বাদে বাকি সবাই চাপের মধ্যে আছে।
আজ (২৯ মে) সোমবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কয়লা, গ্যাস ও তেলের দাম নিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে কয়লা পাওয়া যেত ৬০ ডলারে গত বছর তা বেড়ে ৪০০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে গ্যাসের দাম এক ধাক্কায় ৬০ ডলার বেড়ে গিয়েছিল। তেলের দাম হয়েছিল লাগামহীন। সেসময়েও ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এসে নানা পরিস্থিতি বিবেচনায় দাম সমন্বয় করতে হচ্ছে। অনেকেই বলেন, চাইলেই ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সোলার থেকে পাওয়া সম্ভব। যারা এটা বলে তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য ৬ হাজার একর জমি দরকার। এক্ষেত্রে কৃষিজমি হলে চলবে না। লাগবে অনাবাদি জমি। সোলার নিয়ে সরকার কাজ করছে। ধীরে ধীরে সব হবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের আগে সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায় না। বিদ্যুতের দাম বাড়াতে না চাইলেও, এ খাতে অতিরিক্ত করভার কমাতে এনবিআরকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বাজেটে তার প্রতিফলন পাবার আশা করছে মন্ত্রণালয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো কিছুদিন ধৈর্য ধরতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। ভোলায় গ্যাসের বড় রকমের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু চাইলেও গণহারে খনন করা যায় না। এটা একদিকে ব্যয়বহুল, অন্যদিকে আমাদের কিছু কারিগরি সীমাবদ্ধতাও আছে। আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্ট, ট্রান্সমিশন সব ঠিক আছে। ঝামেলা হচ্ছে জ্বালানি সরবরাহে। এ সমস্যাও ধীরে ধীরে কেটে যাবে। তিনটি লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি- জ্বালানিকে নিরবচ্ছিন্ন, নির্ভরযোগ্য ও সস্তা করে তোলা।