রহমত নিউজ ডেস্ক 27 May, 2023 10:16 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনরত কোনো দল এ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেবে না।
আজ (২৭ মে) শনিবার বিকালে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, মীর সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমেরিকা ঘোষণা দিয়েছে আগামীতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যারা বাধা দেবে তাদের ভিসা দেওয়া হবে না। আর এই বাধাদানকারী হলো আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়, আজ বিদেশিরাও তাই মনে করছে। তারাও দাবি তুলেছে সুষ্ঠু নির্বাচনের। এ দেশে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হলে গণঅভ্যুত্থানের কোনো বিকল্প নেই। আমরা আশাবাদী, জনগণ প্রস্তুত, অচিরেই গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়ে যাবে। আমেরিকা ঘোষণা দিয়েছে আগামীতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যারা বাধা দেবে তাদের ভিসা দেওয়া হবে না। আর বাধাদানকারী হলো আওয়ামী লীগ। এই আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র, দেশ ও জনগণ কোনো কিছুই নিরাপদ নয়। এরা উন্নয়নের দোহাই দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের হাজার কোটি টাকার মালিক বানিয়েছে। এ সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। তারা গায়ের জোরে আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, আমাদের প্রতিটি কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী বাধা দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, আজ সারা পৃথিবীতে সবাই জেনেছে, শেখ হাসিনার অধীনে একটিও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। আওয়ামী লীগও ভালো করে জানে, জনগণ দিনের বেলায় ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। মানুষের ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগ হরণ করেছে, এ দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই অর্থনীতি আর মেরামত করা সম্ভব নয়। আজ গরিব মানুষ না খেয়ে আছে, মধ্যবিত্ত গরিব হয়ে গেছে।