রহমত নিউজ ডেস্ক 27 May, 2023 07:23 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করব। তাতে বাইরের কে ভিসানীতি দিল, নিষেধাজ্ঞা দিল- এ নিয়ে আওয়ামী লীগের, শেখ হাসিনার কোনো মাথাব্যথা নেই। আমরা তো নির্বাচন সুষ্ঠু করবো, অবাধ ও নিরপেক্ষ করবো। গাজীপুরে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।
আজ (২৭ মে) শনিবার বিকালে রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকা যে ভিসানীতি প্রকাশ করেছে, তাতে নির্বাচনে বাঁধা দিলে খবর আছে। আমেরিকার নতুন ভিসানীতিতে বিএনপির গলা বসে গেছে, মুখ শুকিয়ে গেছে। আমরা প্রস্তুত, খেলা হবে। ফাইনাল খেলা আগামী নির্বাচনে- নৌকা বনাম ধানের শীষ খেলা হবে। বাংলার মানুষ ধানের শীষ চায় না। নতুন ভিসানীতিতে আমেরিকা বলেছে- সুষ্ঠু নির্বাচনে যারাই বাঁধা দিবে, তাদের ভিসা বন্ধ করে দিবে। এখানে আমাদের কিছুই নেই। সবশেষ গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দিয়েছি, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করবো। আসন্ন চার সিটি এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনও সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে, মার্কিন নতুন ভিসানীতিতে আমাদের একটা লাভ হলো- এতোদিন তারা নালিশ করেছে আমেরিকার দরবারে, আর বলেছে- নিষেধাজ্ঞা আসবে... নিষেধাজ্ঞা কই? নিষেধাজ্ঞা এখন তাদের বিরুদ্ধে। নতুন ভিসানীতিতে নির্বাচনে গোলমাল করলে, ভাংচুর, মানুষ ও বাস পোড়ালে, যারাই এইসব জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি করবে, আগুন সন্ত্রাস করবে, তারাই আজকে ভয় পাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ফখরুল সাহেব.. ভয় পাচ্ছেন কেন, নির্বাচনকে ভয় কিসের ? কাদের বলেন, আসলে তারা ভয় পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনাকে। তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু শেখ হাসিনা, কারণ জনগণের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা শেখ হাসিনা। নির্বাচনে বাধা দেয়া হলে, প্রতিহত করা হবে, নির্বাচনে বাধা দেয়া হলে, খবর আছে। আগামী নির্বাচনে নৌকা বনাম ধানের শীষে খেলা হবে। বাংলার মানুষ ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দেবে তারা ধানের শীষ চায় না।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তিনি নিজের কথা ভাবেন না, ভাবেন দেশের কথা।