এখন নিট পোশাকশিল্প মালিকরা সবচেয়ে অসহায় : সেলিম ওসমান

ব্যবসায় লস করতে করতে নিট পোশাকশিল্প মালিকরা এখন সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় আছেন বলে দাবি করে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান এমপি বলেছেন, অনেকে মনে করেন আমরা যারা ব্যবসা করি আমরা যারা এক্সপোর্ট করি আমরা খুব ভালো আছি। বিশ্বাস করেন আমাদের মতো অবস্থা কারও নেই। আমরা এখন অসহায়। আমরা লাভের মুখ দেখি না। আমরা লস করতে করতে এমন জায়গায় এসে ঠেকেছি আমার কাছে মনে হয় আমার দাদা যে ব্যবসা করতো আমরা সে ব্যবসা করছি।

আজ (২৭ মে) শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শিল্পখাতের ১১ বারের মতো সিআইপি সম্মাননা অর্জন ও প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশে তৈরি’ লেখাটি সংযুক্ত করায় তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার কাজল, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, সহ-সভাপতি মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল ও মো. আক্তার হোসেন অপূর্বসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সেলিম ওসমান বলেন, ব্যাংক আমাদের ডলারের লিমিট দিয়েছে। হঠাৎ সকালে শুনলাম ডলালের লিমিট ৩০ পার্সেন্ট কমিয়ে দিয়েছে। এটা কেমন কথা। আমরা এলসি খুলছি আমাদের যারা সাপ্লাই করছে তাদেরকে ডলার দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ ব্যাংকের কাছে ডলার রিজার্ভ নেই। আমাদের মালামাল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের গ্যাস শেষ হয়ে গেছে। সরকার আমাদের বললো তোমরা যদি ইমপোর্টের পয়সা দাও আমরা তোমাদের গ্যাস দেবো। আমরা দীর্ঘ মিটিং করলাম। রাজি হয়ে গেলাম গ্যাসের দামবৃদ্ধি করে দেন। ১০০ পার্সেন্ট বৃদ্ধি করে দেওয়া হলো। আমাদের মানুষগুলোকে বাঁচাতে হবে। ৬৫ পার্সেন্ট নারী শ্রমিক আমাদের কাজের ওপর নির্ভর করছে। এই নারায়ণগঞ্জে পাটের অভাব ছিল না। নারায়ণগঞ্জ থেকে পাট ইউরোপে এক্সপোর্ট হতো। নারায়ণগঞ্জকে বলা হতো প্রাচ্যের ডান্ডি। আজকে সেই পাট কোথায় গেছে? নারায়ণগঞ্জে পাট সমিতি ছিল। তাদের বিশাল বিল্ডিং ছিল। অ্যাসোসিয়েশন নষ্ট হয়ে গেলো। পাট বন্ধ করে দিয়েছিল তৎকালীন সরকার।