রহমত নিউজ ডেস্ক 25 May, 2023 05:21 PM
মার্কিন এই নীতি আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য ভালো একটি পদক্ষেপ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা এটাকে ওয়েলকাম (স্বাগত) করছি এই কারণে আগামী নির্বাচনকে মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সব ব্যক্তি-সংগঠনকে অ্যাড্রেস করা হয়েছে। এটা দেশবাসীকে গ্রহণ করেছে করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষকে অর্জন করতে হবে। এটা একটা পদক্ষেপ। এটা সহায়ক হবে তবে আরও অনেক কিছু করতে হবে। আগামী নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও শঙ্কা রয়েছে। এ নির্বাচনে যেন ভোট চুরি না হয় সেসব বিষয় বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ (২৫ মে) বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে দুপুর ১২টায় এ বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর পৌনে ২টায়। বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন দলটির তথ্য ও গবেষণা-বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. এ আরাফাত। বিএনপির পক্ষে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। জাতীয় পার্টির পক্ষে দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
আমীর খসরু বলেন, ভোট চুরির সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষভাবে জড়িত, তাদের জন্যই মার্কিন ভিসা নীতি প্রযোজ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির পদক্ষেপ আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তারই প্রতিফলন মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা। যারাই ভোট চুরির সঙ্গে ডিরেক্ট এবং ইনডিরেক্ট জড়িত, তাদের সরার জন্যই এটা প্রযোজ্য। ইতোমধ্যে ভোট চুরি চলছে। গাজীপুরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, লেভেল প্লেইং ফিল্ড না থাকায় সেখানকার সাবেক সিটি মেয়রকে নির্বাচন করতে দেয়নি বর্তমান সরকার। মার্কিন ভিসা নীতি আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। মার্কিন নতুন ভিসানীতি নিয়ে মন্ত্রীরা যদি উদ্বিগ্ন না হয় ভালো কথা। কিন্তু মানুষ যদি তার ভোটাধিকার না পায় অধিকার ফিরে না পায় তাহলে তাদের দুশ্চিন্তার কারণ আছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই বার্তা আওয়ামী লীগ না ভাবলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে।
এর আগে, বুধবার (২৪ মে) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষিত এই ভিসানীতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির বিষয়ে এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার পাশে রয়েছে বলে মনে করে সরকার। নিজেদের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকারের ব্যাপারে বাংলাদেশের জনগণ অনেক বেশি সচেতন। ভোট কারচুপির মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থাকার কোনো নজির নেই।