রহমত নিউজ ডেস্ক 25 May, 2023 10:34 PM
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আরো বেশি কর্মী যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সেটি আশাব্যঞ্জক না। কারণ, সেভাবে রেমিট্যান্স আসছে না। আমাদের রিজার্ভ কমে আসছে। রিজার্ভে যে প্রবাসীদের অবদান আছে, সেটি কিন্তু আমাদের স্বীকার করতে হবে। বর্তমান সরকার তা করেছে বলে আমি মনে করি। কিন্তু যাই কিছু করা হোক না কেন, সমস্যা থেকে যায়। রেমিট্যান্সের বিপরীতে প্রণোদনা বাড়িয়ে দিতে বলা হয়। আমি কিন্তু বাড়ানোর পক্ষে নই। আমাদের যথেষ্ট টাকা আছে, আমাদের দরকার ডলার। আমরা যদি অভিবাসী কর্মীদের টাকা বেশি দেই, তাহলে কিন্তু আরেক দিক দিয়ে টান পড়তে পারে।
আজ (২৫ মে) বৃহস্পতিবার বিকালে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ‘বাংলাদেশ রেমিট্যান্স প্রবাহের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাসুদ এ খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলান, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটি মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম এনডিসি, রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি রিসার্স ইউনিট রামরু’র চেয়ার তাসনিম সিদ্দিকী, অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর, বাংলাদেশ ব্যাংকের চিফ ইকোনমিস্ট ড. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের নন-গভর্নমেন্ট অ্যাডভাইজর মোহাম্মদ শাহজাহান সিদ্দিকী, বায়রা মহাসচিব হায়দার আলী প্রমুখ।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, হুন্ডি ব্যবসায়ীদের কিন্তু আনলিমিটেড পকেট নাই, যদি না তাদের আনলিমিটেড কালো টাকার উৎস থাকে। তাহলে কালো টাকা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেটা একটি ইস্যু। মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসসহ যা-ই করেন না কেন, কর্মীদের জন্য যেন সহজতর হয়। রেমিট্যান্সের টাকা দেশে পরিবারের হাতে সহজে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বাংলাদেশি ব্যাংকের ক্ষেত্রে চার্জ মওকুফ করে ফ্রি করে দেওয়া যায়। কিন্তু বিদেশের ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ তো আমাদের হাতে নাই। এখানে কিন্তু একটা মেকানিজম বের করা যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর আমার সেই আস্থা আছে।’
তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটা যেন কয়েকটা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। যদি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে সেখানে আরেকটা জটিলতা তৈরি হবে। যতটুকু সম্ভব সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত। তাহলে প্রতিযোগিতা থাকবে রেমিট্যান্স আহরণের। আমি একটি ব্যাংক সম্পর্কে জানি, যারা সাড়ে ৩ শতাংশ প্রণোদনা দেয়। তারা যদি পারে তাহলে অন্যরা পারবে না কেন। গত বছর ১১ লাখ কর্মী বিদেশ গেছেন। এই বছর ১১-১২ লাখ যেতে পারেন। কিন্তু সেইভাবে রেমিট্যান্স তো আসছে না। আমার মনে হয়, কোথাও একটা সমস্যা আছে। যদিও কঠিন একটা কাজ, তবে অসম্ভব নয়। আমরা যদি করতে চাই, তাহলে অবশ্যই পারবো। প্রণোদনা না দিলেও সুযোগ-সুবিধা প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া উচিত।