| |
               

মূল পাতা জাতীয় কাউকে পিছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয় : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী


কাউকে পিছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয় : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী


রহমত নিউজ     25 May, 2023     06:45 PM    


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আমাদের দেশকে একসময় ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো, সেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এখন বলা হয় উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাত এগিয়ে আসার কারণে দেশের এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। নীতি নির্ধারণসহ বেসরকারি খাতকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলেই এ উন্নয়ন হয়েছে। এভাবে সরকারি-বেসরকারি খাত একযোগে কাজ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। তাই কাউকে পিছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনসাধারণের উন্নয়নের জন্যই শুধু নয় বরং সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে কাজ করছেন। তার দায়বদ্ধতা, আন্তরিকতা ও নীতি নির্ধারণ বিশ্বনেতাদের প্রশংসা অর্জন করেছেন। 

আজ (২৫ মে) বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় মেডিকেল, হেলথ ট্যুরিজম এবং খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও আইএমএফ প্রধানও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অসাধারণ নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে ভিশন ও মিশন থাকতে হয় সেটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী করে দেখিয়েছেন। তাই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ শেখ হাসিনার শাসনামল বাংলাদেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়। বর্তমানে এখন বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। বিশ্বের অনেক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা শঙ্কা করেছিল করোনায় বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় নীতি এবং সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে মহামারি সত্ত্বেও দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়নি। বরং কোনও কোনও ক্ষেত্রে খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার আমরা করছি। ফলে খাদ্য জাতীয় পণ্য তথা ধান, গম, ভুট্টা, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম এমন উৎপাদন হয়েছে এবং এর গুণগতমান এত ভালো যে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে এখন অনেক কিছু আমদানি করছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত মাছ এখন বিশ্বের ৫২টি দেশে রপ্তানি হয়। পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে মাংস আমদানি করতে চাইছে। দেশে উৎপাদিত নানাধরণের খাদ্য সামগ্রী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উৎপাদিত ওষুধ পৃথিবীর বহু দেশে রপ্তানি হচ্ছে, ওষুধ শিল্পে যান্ত্রিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য সেবা ও অন্যান্য গবেষণায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিশ্বের বিস্ময়।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে শিশু মৃত্যু-মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে, গড় আয়ু বেড়েছে। এর অন্যতম কারণ সরকার দেশে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের জোগান দিতে পারছে, উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা দিতে পারছে ও মানুষের প্রশান্তির জন্য অন্যান্য যেসব সহযোগিতা দরকার তা দিতে পারছে। প্রান্তিক পর্যায়ে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এক সময় বিপন্ন ছিল। এখন প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। নিজের টাকায় পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, ঢাকা-কক্সবাজার অত্যাধুনিক রেল সংযোগ, রাস্তার ব্যবস্থা... কী না হচ্ছে বাংলাদেশে। দেশে কোনও মানুষ খাদ্যের অভাবে থাকে না ও চিকিৎসার অভাবে কোনও মানুষ মারা যায় না। দেশের প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে। মানুষকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এর সবই সম্ভব হয়েছে দেশের মানুষের সদিচ্ছা, রাষ্ট্রীয় উপযুক্ত পলিসি ও সরকার প্রধানের নিরলস প্রচেষ্টায়। রাষ্ট্র নাগরিকের কল্যাণে ও মানুষের কল্যাণে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিতে চায়।