রহমত নিউজ ডেস্ক 10 May, 2023 01:46 PM
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, বৈষম্য ব্যাপক হারে বাড়ছে, সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনেক ভালো করছে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যক্তিপর্যায়ে আমলে না নেওয়া হলে এই অর্জন কাজে আসবে না। কাজেই সামষ্টিক অগ্রগতির পাশাপাশি ব্যক্তিপর্যায় উন্নয়নের কথা ভাবতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে কারও কোনও কথা নেই। খেলাপি ঋণ বাড়ছে। ঋণখেলাপিদের আরও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এটা বঙ্গবন্ধুর সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ নীতির পরিপন্থি।
মঙ্গলবার (৯ মে) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সম্পাদিত ‘দেশ রূপান্তরের কারিগর শেখ হাসিনা’ বইয়ের গ্রন্থ পরিচিতি ও প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান-বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন, ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক আব্দুল বায়েস, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মঞ্জুরুল আহেমেদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নূরুল হুদা ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধূরী।
ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা একে অন্যের পরিপূরক, বঙ্গবন্ধু যেসব কাজ শুরু করেছিলেন, শেখ হাসিনা সেসব বাস্তবায়ন করছেন। প্রধানমন্ত্রী আইএমএফসহ সুশীল সমাজের নানা চাপেও কৃষি ভর্তুকি থেকে সরে আসেননি। আওয়ামী লীগ মোড়লদের ফাটাফাটিতে ভারসাম্য রক্ষার কঠিন কাজটি করছেন শেখ হাসিনা। তবে তিনি সহকর্মী নিয়োগে তার পিতার মতোই অনেক ক্ষেত্রে শুদ্ধ সিদ্ধান্ত নেন না। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে কিছু সঠিক সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। যেমন ড. দীপু মনিকে (শিক্ষামন্ত্রী) ওই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেছেন। ফলে সমুদ্রসীমা জয়ের ক্ষেত্রে তার ব্যাপক ভূমিকা ছিল।
তিনি আরো বলেন, বৈষম্য কমাতে কর জিডিপির অনুপাত বাড়াতে হবে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ কার্যকর করতে হবে। বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দিতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্পে সময় বেশি লাগলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো জরিমানার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। গরিব মানুষের টাকা দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখন কোনও কোনও ক্ষেত্রে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন ধীরগতি করে অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা দরকার। সমবায় পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে হবে। সেটি না হলে মধ্যস্বত্বভোগীরা অনেক ক্ষেত্রে পিঁপড়ার মতো খেয়ে ফেলবে। বিদেশি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।