রহমত নিউজ ডেস্ক 06 May, 2023 05:33 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, জনগণ বিএনপির আন্দোলনে সাড়া দেয় না। তারপরও তারা আন্দোলনের নামে সহিংসতা করতে চায়। আসলে বিএনপি চায় না দেশের উন্নয়ন হোক। তারা চায় মিথ্যাচার ও চক্রান্ত করে দেশকে ধ্বংস করতে।
আজ (৬ মে) শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত ‘শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি সংসদের সভাপতি অ্যাডভেকেট আবদুল বাতেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মোজাম্মেল হক, বাসসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভুইঁয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।
কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে আর কখনোই অনির্বাচিত সরকার আসতে দেয়া হবে না। তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আমরা দুই বছর পর্যন্ত লম্বা হতে দেখেছি। মাইনাস টু ফর্মুলা দেখেছি। তাই বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে আসার জন্য যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে, তা আর আসবে না। নির্বাচিত সরকারের অধীনেই তাদের নির্বাচনে আসতে হবে। বিদেশিদের কাছে তারা মিথ্যাচার করছে। বাংলাদেশ যখন একটি উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন তারা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এসব মিথ্যাচার ও চক্রান্ত করছে।
আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যাকান্ড সম্পর্কে কামরুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন বিএনপি সরকার ও খালেদা জিয়ার প্রত্যক্ষ মদদেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এই মাস্টারমাইন্ডদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। শ্রমিক লীগকে তিনি সংগঠিত করেছিলেন।
প্রয়াত আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, এই জঘন্য হত্যাকান্ডের বিচার এখন আপিল বিভাগে আছে। একই সঙ্গে ওই সময় যে আরও পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছিল, আশা করি তার বিচারও দ্রুত সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশের মাটিতে যেন আর কখনো এ ধরনের হত্যাকান্ড না ঘটে, সে জন্য সচেতন থাকতে হবে।