প্রতিটি স্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

দায়িত্ব পালনের প্রতিটি স্তরে নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বঙ্গভবনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে নির্দেশ দিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দায়িত্ব পালনের প্রতিটি স্তরে নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। বঙ্গভবনের সুনাম অক্ষুর্ণ রাখার পাশাপাশি কীভাবে আরো বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে ভাবতে হবে। বঙ্গভবনের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠা, সততা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করবেন এবং বঙ্গভবনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সচেষ্ট থাকবেন। তাই আপনাদের (বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারী) প্রতিটি কর্মকান্ড এমন হতে হবে যাতে জনগণ আপনাদের উপর আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারে।

আজ (৩ মে) বুধবার দুপুর দরবার হলে বঙ্গভবনের বঙ্গভবনের সকল সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বক্তব্যের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্টের কাল রাতে শাহাদাত বরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় চার নেতা ও জাতির ক্লান্তিলগ্নে যারা জীবন উৎসবে করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সকল সংসদ সদস্য যাদের ভোটে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সততা ও ন্যায়ভিত্তিক, জ্ঞাননির্ভর ও আলোকিত জন প্রশাসনের কোনো বিকল্প নেই। আপনারা সরকারের আইন, বিধি-বিধান ও জনস্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হবেন। মনে রাখবেন সব আইন প্রণীত হয় জনগণের কল্যাণের জন্য, বঙ্গভবনকে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক, এর সাথে মিশে রয়েছে বঙ্গভবনে কর্মরত প্রতিটি কর্মচারীর মেধা, শ্রম ও আন্তরিকতা। বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হলেও একজন নাগরিক হিসেবে সরকারি কাজের পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সার্বক্ষণিক প্রয়াস চালাবেন। বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়নের পথে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হয়েছে।

দেশের চলমান উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে প্রত্যেককে নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার ও তাগিদ দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জনগণ যাতে তাদের প্রত্যাশিত সেবা সহজে ও নির্বিঘ্নে পেতে পারে সেদিকে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে আপনার জনগণের সেবক, প্রভু নন। ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট এর নারকীয় হত্যাকান্ড, বঙ্গভবনের ইতিহাস শুধুই যে অহংকার আর গর্বের তাই নয়, খুনি চক্র এই বঙ্গভবনে বসেই বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করেছে। কিছু দেশদ্রোহী তাদেরকেও সহায়তা করেছে। ইতিহাস তাদের ক্ষমা করেনি। তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ঘাতকচক্র ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তারা বাংলার মাটি ও মানুষের কাছ থেকে তাঁর নীতি ও আদর্শ মুছে ফেলবে কিন্তু তারা তা পারেনি। বঙ্গবন্ধু আজ শুধু বাংলাদেশী নয় সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।