রহমত নিউজ 02 April, 2023 11:38 AM
মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত প্রত্যেকটি মামলা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ষড়যন্ত্র করে নাটক সাজিয়ে তাকে দুবছর যাবৎ অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। সরকার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ভাষা বুঝতে কালবিলম্ব করছে। ঈদের পূর্বে মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে ঈদের পর আন্দোলন অশান্ত হয়ে উঠবে।
শনিবার (১ এপ্রিল) "মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেকে পরিত্রাণ ও মুক্তি কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ বলেন, সরকার বলে দেশ নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে, কিন্তু আমরা দেখছি দেশ আজ ধ্বংসের খাদে পড়ে গিয়েছে। দ্রব্যমূলয়ের উর্ধগতি, দুর্নীতি, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশকে এ সরকার ধ্বংস করেছে। রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে এর চরম মূল্য সরকারকে দিতে হবে। তিনি বলেন, মামুনুল হকের অপরাধ হলো তিনি নিরপরাধ। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে জনগন থেকে তাঁকে বিচ্ছিন্ন করা যায়নি-যাবেনা।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জাতিস্বত্ত্বার সাথে ইসলাম মিশে আছে। একশ্রেণীর গাদ্দার এদেশ থেকে ইসলামকে মুছে ফেলতে চায়। মাওলানা মামুনুল হক এই ইসলামকে বিজয়ী করার কথা বলতেন বলে দেশের এই গাদ্দার শ্রেণী তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠেছে। মাওলানা মামুনুল হক শরিয়ত ও আইনের দৃষ্টিতে কোন অপরাধ করেননি। তিনি নিজের বৈধ স্ত্রীকে নিয়ে রিসোর্টে গিয়েছিলেন সেখানে তাঁর উপর হামলা করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রীকে তাঁর বাসা থেকে তুলে নিয়ে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে মিথ্যা মামলা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এখনো তিনি প্রশাসনের বলয় থেকে স্বাধীন হতে পারেননি। এসকল ষড়যন্ত্র ও জুলুম করে সরকার টিকতে পারবেনা।
যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালীর সভাপতিত্বে ও সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমানের পরিচালনায় মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন , মাওলানা তাফাজ্জল হুসাইন মিয়াজী, গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ রাশেদ খান, ইসলামী যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মানসুর আহমদ সাকি, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোরশেদ মামুন, বাংলাদেশ ইসলামী যুব সমাজের মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা এনামুল হক মুসা, নির্বাহী সদস্য মাওলানা রুহুল আমীন খান, যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও বাইতুল মাল বিভাগের সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ হুসাইন, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা রাকীবুল ইসলাম, মজলিসে খাসের সদস্য ক্বারী হুসাইন আহমাদ, মাওলানা জাহিদুজ্জামান, খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা মুহাম্মাদ খালিদ সাইফুল্লাহ।
আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষীনের সভাপতি মাওলানা নূর মুহাম্মাদ আজিজী, উত্তরের সহ-সভাপতি মাওলানা হাসান জুনাইদ, সেক্রেটারি মাওলানা আনোয়ার রাজী, যুব মজলিস নারায়নগঞ্জ মহানগর সভাপতি মাওলানা মীর আহমাদুল্লাহ ফুয়াদ, ঢাকা জেলা দক্ষীণের সভাপতি মাওলানা জাকির হুসাইন, গাজীপুর জেলা সহ-সভাপতি কাজী নিজামুদ্দীন প্রমুখ।