রহমত নিউজ ডেস্ক 31 March, 2023 07:33 PM
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমিরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, মানব রচিত আইনে পরিচালিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দুর্নীতি দুঃশাসনে জনগণ অতিষ্ঠ। সুদ- ঘুষ, মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা না থাকায় সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করছে। জনগণের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে ইসলামী রাষ্ট্রের বিকল্প নেই। বিশ্ব শান্তির মহান দূত হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম মদিনা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল জুলুম অত্যাচার নির্মূল করে সমাজে ইনসাফের রাজ কায়েম করেছিলেন। যার কোন নজির পৃথিবীতে নেই। খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগের ন্যায়ের শাসনের ঘটনা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
আজ (৩১ মার্চ) শুক্রবার রাজধানীর ইম্পেরিয়াল হোটেল ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলান আবুল হাসানাত আমিনী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।
আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১৯৮১ সালে আল্লাহর জমিনে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে বটগাছ প্রতীক নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সরকারিভাবেই তৃতীয় স্থান লাভ করেছিলেন। তিনি বলতেন খেলাফত মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ আমানত। ইসলামী হুকুম প্রতিষ্ঠার জন্য মেহনত করা গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। জ্বালাও পোড়াও এর রাজনীতি হাফেজ্জী হুজুর পছন্দ করতেন না। শান্তিপুর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে কোরআন সুন্নাহর শাসন প্রতিষ্ঠা হলে সকল অন্যায় অবিচার জুলুম শোষণ বন্ধ হবে। জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। জনগণকে ইসলামী হুকুমতের প্রয়োজনীয়তা বুঝানো উলামায়ে কেরামদের গুরুদায়িত্ব। এজন্য উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা খুবই জরুরী। এ জন্যে বক্তাগন খেলাফত আন্দোলনের আমীর আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীকে ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যের আহবান জানান তিনি।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, হাজী জালালুদ্দীন বকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি ইলিয়াস মাদারীপুরী, যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতী সৈয়দ ফখরুল ইসলাম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মুফতি আ ফ ম আকরাম হোসাইন, এডভোকেট মুহাম্মদ লিটন হোসেন চৌধুরী, মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, মুফতি শিহাব উদ্দিন কাসেমী, এডভোকেট জয়নাল আবেদীন বকুল, কারী মাসুদুল হক প্রমুখ।