রহমত নিউজ ডেস্ক 31 March, 2023 04:58 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সরকার গণমাধ্যমকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছে, আপনারা (আওয়ামী লীগ) আজকে বাংলাদেশের মিডিয়াকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছেন। প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছেন এবং সম্পাদক মতিউর রহমানের নামে মামলা দিয়েছেন। এতে আপনি কি বার্তা দিতে চাচ্ছেন যে সাংবাদিকরা আর লেখালেখি করবেন না, সামনে আমরাই (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় যাব। আমি সরাসরি বলবো, আপনাদের এই কৌশল আর বিএনপির কাছে টিকবে না।
আজ (৩১ মার্চ) শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বির এবং রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি গাজী রেজওয়ান হোসেন রিয়াজের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ হোসেনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলেv সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান, ফখরুল ইসলাম রবিন এবং বিএনপি উত্তরের সদস্য সচিব ও সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক।
ফারুক বলেন, আপনাদেরকে (আওয়ামী লীগ) ২০১৮ সালে বিশ্বাস করেছিলাম। গণভবনে আপনাদের সঙ্গে চা খেয়েছিলাম। আন্তরিকতার সঙ্গে আমার দল গিয়েছিল। কিন্তু সেদিন আপনারা আমাদের দলের সঙ্গে মুনাফিকি করেছিলেন। আপনারা দিনের ভোট রাতে করেছেন। ২০১৪ সালে আমাদের সফিউল আলম বলেছিলেন, কুত্তা মার্কা নির্বাচন দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় আছেন। সেই দিন আর নেই; এখন আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান। তার কৌশলের কাছে আপনারা পরাজিত হবেন। আমার বিশ্বাস, যতই কৌশল হোক, যতই ষড়যন্ত্র হোক বিএনপির সামনে আর দাঁড়াতে পারবেন না।
তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে জীবন দেব, জেলে যাব তবু খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। গুটিকয়েক পুলিশ দিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবেন না। ১৭ জন এখন পর্যন্ত জীবন দিয়েছে, প্রয়োজনের ১৭ হাজার জীবন দেব। কিন্তু আপনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না। বিএনপিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা আপনারা শুরু করেছেন। পাশাপাশি সাংবাদিকরা যখন সততার সঙ্গে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরছেন তখনই আপনারা বার্তা দিচ্ছেন যে, আপনাদের (সাংবাদিক) মুখও আমরা (সরকার) বন্ধ করে দেব। মুক্তি কার কাছে চাইবো। মুক্তির দাবি আর করতে চাই না। যারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকেন, দেশের টাকা লুট করে কানাডার বেগম পাড়ায় বাড়ি করেন তাদের কাছে আর খালেদা জিয়াসহ অন্যদের মুক্তির দাবি করবো না।