‘সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়তে কাজ করে যাচ্ছে’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমান সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তরুণদের দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদে পরিণত করতে ৫৫৫টি জয় ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলার, প্রাথমিক স্তরে ১০ লাখ কোডার, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ১০ লাখ প্রোগ্রামার এবং এসএসসি ও এইচএসসি পাশ ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য।

আজ (২৯ মার্চ) সোমবার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা সভায় এক ভিডিও বার্তায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো: সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাভিদ শফিউল্লাহ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোস্তাফা কামাল প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার জন্য তরুণ প্রজন্মসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ২০৩১ সাল নাগাদ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ৪১ সাল নাগাদ প্রযুক্তি নির্ভর উচ্চ আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামকে সফল করেছেন এবং প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে দেশের আইসিটি খাতে সঠিক অবকাঠামো গড়ে উঠেছে।

তিনি আরো বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তির শক্তিকে সমন্বয় করে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি। মানুষ ২ হাজারের বেশি সরকারি সেবা পাচ্ছে। ৫২ হাজার ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সাড়ে ৮ হাজার ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রতি মাসে ১ কোটি মানুষ স্বল্প সময় ও স্বল্প খরচে ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে। বর্তমানে আমরা আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি করে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার আয় করছি। আমাদের শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল অর্থনীতির সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।