মিথ্যার বেসাতি ছাড়া বিএনপির কাছে কিছু নেই : নানক

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, মিথ্যার বেসাতি ছাড়া বিএনপির কাছে আর কোন কিছু নেই, ওরা বাংলাদেশের অকল্পনীয় উন্নয়নকে মেনে নিতে পারছে না, ওরা স্বপ্ন দেখে আবার ১/১১ সরকার কায়েম করবে। ১/১১ সরকার বাংলার একটি মানুষ জীবিত থাকতে আর কায়েম হতে দেয়া হবে না। আমাদের ধৈর্য্যরে বাঁধ ভেঙ্গে গেলে তার ফল শুভ হবে না। কারণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাঙালি জাতি শেখ হাসিনার নেৃতত্বে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবেই।

আজ (২৯ মার্চ) সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুব মহিলা লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজির সভাপতিত্বে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি। সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, বিএনপি আসলে দেশে অরাজক ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তারা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোন যুক্তিতে চান? আপনাদের নেতা আপনাদের মাতা বেগম খালেদা জিয়া বলেছিল নিরপেক্ষ বলতে কেউ নেই। এক পাগল আর শিশু হল নিরপেক্ষ। তাহলে আপনারা নিরপেক্ষ সরকার চান, তাহলে আপনাদের ম্যাডামের ভাষায় মির্জা ফখরুল- আপনারা হয় শিশু, নয় পাগল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমরা শত্রু মিত্রের তালিকা করতে পারিনি বলে শত্রু সেদিন ঘাপটি মেরে বসে ছিল। মোশতাক-জিয়াদের তালিকা করে কবর রচনা করতে পারিনি বলেই সেদিন মোশতাক-জিয়ারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। আজকের বাংলাদেশে পাকিস্তানের সেই প্রেতাত্মারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে তখন আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সেকথা কি ভুলে গেছেন মির্জা ফখরুল সাহেব? সেদিন মেয়েদের বিবস্ত্র করা হয়েছিল আপনাদের পেটোয়া বাহিনী দিয়ে। আর আজকে আন্দোলন করেন, সমাবেশ করেন, মহাসমাবেশ করেন তারপরও বলেন গণতন্ত্র নাই? কথা বলার অধিকার নাই? কি অধিকার আর চান? আমাদের ধৈর্য্যরে বাঁধ ভেঙ্গে গেলে মির্জা ফখরুল সাহেব তার ফল শুভ বয়ে আনবে না আপনাদের জন্য।

বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বারবার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য বাঙালি জাতিকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। জাতির পিতার সেই প্রদর্শিত পথেই আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামের কথা বঙ্গবন্ধু কন্যাও বারবার বলেন। আমাদেরকেও যেকোন দুর্নীতিবাজ হোক; সেটা বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতিবাজ হোক, যে পর্যায়ের দুর্নীতিবাজই হোক তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। একটি স্মার্ট বাংলাদেশ পেতে হলে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ পেতে হলে সকল দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের কোন রাজনীতি নেই। দুর্নীতিবাজদের কোন আদর্শ নেই। তাদের কোন পরিচয় নেই। দুর্নীতিবাজদের কোন রূপ নেই। দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষা করতে হবে।