| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি আওয়ামী লীগের নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না : মির্জা ফখরুল


আওয়ামী লীগের নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না : মির্জা ফখরুল


রহমত নিউজ ডেস্ক     04 March, 2023     06:46 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলেন-বর্তমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? যে সংবিধান কাটাছেঁড়া করে একটি পাতানো নির্বাচনের জন্য সাজিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ? যে নির্বাচনে ভোট দিতে যায় না মানুষ। আগের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে কুকুর শুয়েছিল। এ ছবি মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে। এ দেখে আমাদের এক নেতা বলেছিলেন ‘কুত্তামার্কা নির্বাচন’। আবারও পাতানো-সাজানো নির্বাচনের আয়োজন চলছে। শেখ হাসিনার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না, এইবার তামাশার নির্বাচন, আওয়ামী লীগের নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

আজ (৪ মার্চ) শনিবার রাজধানীর উত্তরায় বিএনপির এক পদযাত্রার আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। উত্তরা-পর্ব থানা আহ্বায়ক শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন ও ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।

আগামী ১১ মার্চ দেশের সব মহানগর ও জেলায় যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি মানববন্ধন ঘোষণা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফার দাবির সঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালিত হবে।  ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন মহানগরের আরও ৪৯টি স্থানে পদযাত্রার কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যসহ জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্য নেতারা নেতৃত্ব দেন। ১৫ বছর ধরে আন্দোলনে আছি। আমরা আন্দোলনে থাকব। তাতে বাধা দিলে তা অতিক্রম করে যাব। চলমান আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার দেশের মানুষের সমস্যার সমাধান করতে পারছে না, গত কয়েকমাসে তিনবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বেড়েছে। গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এজন্য কলকারখানা চালু রাখতে সমস্যা হচ্ছে। ভারতের আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। কয়লা কিনবে, বিদ্যুৎ কিনবে। তারা বিদ্যুৎ না দিলেও খরচ দিতে হবে সরকারকে। এতে সরকারকে এক লাখ ডলালের বেশি খেসারত দিতে হবে। জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই বলেই এই ধরনের চুক্তি করছে।