আগামীতে আ’লীগই দেশে শরিয়াহ আইন করে ফেলবে : শাহরিয়ার কবির

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, যেভাবে আমরা এগোচ্ছি, এটা যদি অব্যাহত থাকে জামায়াতের ক্ষমতায় যাওয়ার দরকার নেই, আগামীতে আওয়ামী লীগই দেশে শরিয়াহ আইন করে ফেলবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে অনেক কথা ছিল। সেগুলোর কি বাস্তবায়ন হয়েছে? হয়নি...। সেজন্য আমাদের উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, যে রাস্তায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা সেটা অনুমান করতে পারি।’

আজ (২৮ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী ও বাংলাদেশ যুবমৈত্রী আয়োজিত ‘মৌলবাদীদের চাপের মুখে পাঠ্যপুস্তক প্রত্যাহার: শিক্ষাক্ষেত্রে অশনিসংকেত’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, সমকালের সহ-সম্পাদক সাইফুর রহমান তপন প্রমুখ।

শাহরিয়ার কবির বলেন, ইতিহাস শিক্ষা দেয় যে, মৌলবাদের সঙ্গে যারাই আপস করেছে, তারাই নিজেদের পতন ডেকে এনেছে। মিশরে নাছের ইসলামী ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করেছিলেন, আনোয়ার সাদাত এসে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেন। তারাই আনোয়ার সাদাতকে হত্যা করলো। পাকিস্তানে জিয়াউল হক শরিয়াহ আইন তৈরি করেছিলেন। তিনিও বাঁচতে পারেননি। মোল্লারা যেখানেই ক্ষমতায় বসেছে, ক্ষমতার সুযোগ পেয়েছে, সেখানেই তারা সবার আগে ইতিহাস চর্চা বন্ধ করে দিয়েছে। যতই ভোটের ইক্যুয়েশন করেন না কেন, তোয়াজ করে মৌলবাদীদের সঙ্গে সুফল পাওয়া যাবে না।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পাঁচ দফা চুক্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শাহরিয়ার কবির বলেন, আমরা সুধাসদন ঘেরাও করেছিলাম, স্মারকপত্র দিয়েছিলাম। তাতে পরিষ্কারভাবে বলেছিলাম, আপনি (শেখ হাসিনা) যদি আপনার বুকের রক্ত দিয়ে লিখে দেন যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে ইসলামি হুকুম কায়েম করবো, ইসলামি শরিয়া আইন থেকে শুরু করে যা কিছু সব চালু করবো, তারপরও মোল্লারা কখনও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না। বঙ্গবন্ধুকে কেন হত্যা করা হলো? এটা তো ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার বিষয় নয়। তিনি সংবিধানে ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। পাকিস্তানের যে দর্শন, তা বাংলাদেশের মাটিতে কবর দিয়েছিলেন সাংবিধানিকভাবে। সেই কারণেই একাত্তরের পরাজিত শক্তি তাকে হত্যা করেছিল।