রহমত নিউজ ডেস্ক 27 February, 2023 06:28 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া বিএনপির সঙ্গে আলোচনার কিছু নেই, বাংলাদেশের জনগণের মনে একটি প্রশ্ন নিরপেক্ষ নির্বাচন। এর বাইরে বাকি আলোচনায় যাওয়ার আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই। সরকারের মন্ত্রীরা বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিচ্ছেন। কিন্তু আমরা এসবের কোনো উত্তর দিচ্ছি না। জনগণ নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এটা আমাদেরও দাবি। আমরা এর বাইরে কোনো আলোচনা করব না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া আগামীতে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল উত্তরাঞ্চলের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, মিডিয়া সেলের আহবায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।
আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সরকার পতনের চলমান আন্দোলনে ছাত্রদলকে বিএনপির পদাতিক বাহিনী হিসেবে কাজ করতে হবে। অনেকেই মনে করছেন, বর্তমানে চলমান যে আন্দোলন সেখানে ছাত্রদলের ভূমিকা প্রত্যাশাপূর্ণ নয়। বাংলাদেশের জনগণ এবং দলের মধ্যে এ বিষয়টা কাজ করছে। প্রত্যাশিত রেজাল্ট ছাত্রদল এখনো দিতে পারেনি। সুতরাং এই সত্য কথা আমাদের বলতে হবে, বিএনপির এই ক্রান্তিকালে ছাত্রদলের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই সরকারের পতন ঘটবে। আমাদের যুদ্ধ আমাদেরই করতে হবে। বিদেশি শক্তিগুলো সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। বিদেশিরা অনেক দিক থেকে আমাদেরকে সমর্থন দিচ্ছেন। দুইদিন আগেও বাংলাদেশের বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন নিয়ে জাতিসংঘের দীর্ঘ বিবৃতি দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো, আমেরিকান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সবাই দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা ততক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকবে, যতক্ষণ আমরা রাজপথে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করব। বাংলাদেশে এসে তারা (বিদেশিরা) কেন আমাদের যুদ্ধ লড়তে যাবেন। আমাদের যুদ্ধ আমাদেরই করতে হবে শুধু সহায়ক শক্তিগুলো এগিয়ে আসবে।
তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র ছবি তোলার জন্য কোনো পদযাত্রা করা যাবে না, ৫১টি থানায় বিশালভাবে পদযাত্রা হতে হবে। এটা হবে আগামী দিনের শেখ হাসিনার পদত্যাগের সিগন্যাল। যদি সুষ্ঠুভাবে পদযাত্রা করতে পারেন তাহলে আগামী দিনের শেখ হাসিনার পতনের প্রথম ধাপ পার হয়ে যাবেন আপনারা। আর এর পরবর্তী কর্মসূচিতে দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। আর এখন কিন্তু পদ নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই। সত্যি কথা বলতে কি, আপনি টিকে থাকলেই তো তারপর পদ। এরকম একটা ফেসিস্ট এর যদি পতন ঘটাতে না পারি, তাহলে আপনি পদ দিয়ে কি করবেন। দেশের মানুষকে বার্তা দিতে হবে, আমরা প্রস্তুত আপনারা (জনগণ) মাঠে নামেন।