| |
               

মূল পাতা রাজনীতি জাতীয় পার্টি কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন বিশ্বাস করি না : চুন্নু


কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন বিশ্বাস করি না : চুন্নু


রহমত নিউজ ডেস্ক     26 February, 2023     10:39 PM    


জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমুখি দল। এই মুহূর্তে নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। কেউ চাচ্ছেন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, আবার কেউ চাচ্ছেন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন। আমরা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন বিশ্বাস করি না। নির্বাচিতরা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে, কেয়ারটেকার সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন তার গ্যারান্টি নেই।

আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি) রবিবার দুপুরে বনানী কার্যালয়ের মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সংসদ সদস্যদের সঙ্গে এক যৌথ সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

চুন্নু বলেন, ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বক্তব্য প্রমাণ করেছে ওই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। যদি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য ভালো থাকে এবং সরকার যদি চায় তাহলেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য করতে সরকারকে ভূমিকা নিতে হবে। নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। চট্টগ্রামের একটি আসন শূন্য হয়েছে, আমরা সেই উপ-নির্বাচনে অংশ নেব। জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে, সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে নির্বাচনের আগে পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

তিনি বলেন, জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে। জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। আজ সকালেও বিরোধীদলীয় নেতা ও পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের সাথে কথা হয়েছে। আজকের যৌথসভায় এরশাদ পুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ অংশ নিয়েছেন। এছাড়া, বহিষ্কৃতদের ব্যাপারে যৌথ সভায় আলোচনা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের বিষয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে, যারা ক্ষমার অযোগ্য সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা করেছে তাদের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নাও হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, একটি সিভিল মামলার কারণে পার্টি চেয়ারম্যান অনেক দিন ধরে প্রেসিডিয়ামের সভা আহবান করতে পারেননি। কিছু দিন আগে মহামান্য হাইকোর্ট সেই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করায়, চেয়ারম্যান এখন মুক্ত। তাই একটি যৌথ সভার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনের আগেই আমরা জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করতে পারবো। এর আগে সকল জেলা সম্মেলনগুলো সম্পন্ন করা হবে। প্রত্যেকটি বিভাগে একটি করে বড় সমাবেশ করা হবে। একই সাথে সারাদেশেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে প্রার্থী ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন।

এর আগে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে যৌথ সভা পরিচালনা করেন মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। যৌথ সভায় বক্তব্য দেন, জাপার কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলহাজ্ব সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এ.টি.ইউ.তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশীদ সরকার, আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী , অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মো. মিজানুর রহমান, সৈয়দ দিদার বখ্ত, নাজমা আখতার, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল, লিয়াকত হোসেন খোকা, নাছির উদ্দিন মাহমুদ, মো. জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, জহিরুল আলম রুবেল, সংসদ সদস্যদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, নুরুল ইসলাম তালুকদার, পনির উদ্দিন আহমেদ, আহসান আদেলুর রহমান, শেরীফা কাদের, রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ।