রহমত নিউজ ডেস্ক 16 February, 2023 07:04 PM
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আমেরিকা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। এ নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আলোচনা হয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। এখানে র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি একেবারেই ছোটখাটো। এ নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমেরিকার প্রতিনিধিদলের আলোচনা হয়েছে। চীনও বাংলাদেশের সব সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে আরো সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমেরিকা বাংলাদেশকে সাহায্য করবে, আমেরিকাসহ বড় বড় দেশকে রোহিঙ্গা শরণার্থী নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। অনেকে ইতিবাচক সাড়াও দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবসহ বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা বাংলাদেশের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।
আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়- সিকৃবির শিক্ষার্থীদের অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব, আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা খুব ভাগ্যবান যে, অনেক দেশের নামজাদা কূটনীতিকরা এসেছেন। আপনি (সাংবাদিক) আমেরিকার কথা বলছেন— আমেরিকার সাতজন অত্যন্ত সিনিয়র কূটনীতিক এসেছেন। আমাদের মধ্যে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। ওরা এসেছেন আমাদের সঙ্গে তাদের দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার জন্য। যত ধরনের ভুল বোঝাবুঝি আছে, সব দূর করে অত্যন্ত শক্ত ভিত্তির ওপর আমাদের উভয় দেশের সম্পর্ক। কোভিড ১৯-এর সময়কার সফলতার প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশকে মিরাকল দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন, এই মিরাকল দেশের সঙ্গে তারা (আমেরিকানরা) সুসম্পর্ক রাখতে চান। আর এখানে নতুন নতুন যে সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, সেগুলোর সঙ্গে তারা সম্পৃক্ত হতে চান, সে জন্য এসেছেন। তারা ছাড়াও এসেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ দূত। তিনিও বলেছেন, বাংলাদেশ সবচেয়ে উন্নয়নশীল মানে র্যা পিডলি ডেভেলপিং কান্ট্রি। আর এখানে বহু ধরনের সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো তারা যাতে একসঙ্গে কাজ করতে পারেন, সে জন্য তিনিও এসেছেন। আর এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব, একই বার্তা নিয়ে যে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য সবাই এসে আমাদের প্রশংসা করেছেন। আর আমাদের দেশে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। এ জন্য আমরা খুব খুশি।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: