রহমত নিউজ ডেস্ক 16 February, 2023 08:03 PM
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্য আইন এখনও আইন মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার (ভেটিং) পর্যায়ে আছে, ২২ ফেব্রুয়ারি আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক আছে। আইনমন্ত্রী ভেটিং করে ছেড়ে দিলে মন্ত্রিসভায় যাবে, সেখানে অনুমোদনের পর সংসদে যাবে। এ আইন হলে যে জাতের চাল সে জাতের নাম বস্তায় লিখতে হবে। তারপর তারা কতটুকু সাঁটাই করতে পারবে, পলিশ করতে পারবে; সেটা উল্লেখ থাকবে। এর থেকে বেশি কিছু থাকলে ভেটিং থেকে আসলে বলা যাবে। ভেটিং না হওয়া পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে বলা ঠিক হবে না। এছাড়া বিপণন, চলাচলসহ অনেক বিষয় এ আইনে রয়েছে। জনমত যাচাইয়ের জন্য আইনটা দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ আইনটা পাস হলেই বোঝা যাবে আরও কী কী আছে।
আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান ।
এর আগে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর খাদ্যসচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, আইনটির খসড়া তৈরি হয়েছে। এটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের পর বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য রয়েছে। বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ে আছে, আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে ভেটিং হয়ে বেরিয়ে যাবে। সেখানে চাল মজুত করলে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। বিদ্যমান অন্য কোনো আইনের সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক কিনা; তা পরীক্ষা করে দেখাকে ভেটিং বলা হয়। আইনটি পাস হলে মিনিকেট, নাজিরশাইল ও লতা—এমন সব কৃত্রিম নামে চাল বিক্রি করা যাবে না। কারণ বাস্তবে চালের এমন কোনো জাত নেই। খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানাস্তর, পরিবহন, বিতরণ ও বিপণনের সঙ্গে অপরাধের বিবরণ দেয়া হয়েছে নতুন আইনে। এটির বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে বাজারে খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে। আর অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তির মুখোমুখি করা যাবে। খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানাস্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২২’ শিরোনামের এই আইন কেউ লঙ্ঘন করলে তাকে অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর কারাদণ্ড কিংবা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড কিংবা উভয় ধরনের সাজা ভোগ করতে হতে পারে।