রহমত নিউজ ডেস্ক 11 February, 2023 08:02 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না, পারে শুধু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে, বিএনপির কতটুকু শক্তি তা আমাদের জানা আছে। বিএনপির কাজ হচ্ছে দিনের বেলায় ‘পদযাত্রা’, রাতের বেলায় ‘এ্যাম্বাসি যাত্রা’। রাতের বেলা বিভিন্ন এ্যাম্বাসিতে গিয়ে কূটনীতিকদের হাতে পায়ে ধরে পদলেহন করা -এই হচ্ছে তাদের কাজ। কিন্তু এদেশে কোনো কূটনীতিক কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারে নাই, পারবেও না।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের অংশ হিসেবে ‘বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ শামীমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা নেতা ইউনুছ গণি চৌধুরী, উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল ইসলাম, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভির হোসেন চৌধুরী তপু, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ও উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাসন্তি প্রভা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঈদের পরে, শীতের পরে, গ্রীস্মের পরে যখন আম পাকে কিংবা বার্ষিক পরীক্ষার পরে আন্দোলন করতে করতে বিএনপির ১৪ বছর কেটে গেছে, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করে এতদিন আত্মগোপনে ছিল তাদেরকে গ্রামেগঞ্জে এনে আবার অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই সমগ্র দেশে পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু রাজনীতির নামে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দিতে পারি না। এই দেশের ক্ষমতার মালিক জনগণ। আমরা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেছে। আগামী নির্বাচনেও জনগণের রায় নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে আবার সরকার গঠন করবে।
তিনি বলেন, বিএনপি বুঝতে পেরেছে আগামী নির্বাচনেও তাদের কোন সম্ভাবনা নাই, তাই তাদের নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে। এখন সবাইকে নিয়ে ঐক্য করে মাঝে মধ্যে বলে ৩২ দল, কখনো ১২ দল, কখনো ২২ দল, আবার বলে ৫৪ দল। আসলে বিএনপির জোট যে কত দলের, সেটা বলা মুশকিল। ২২ দল এবং ১২ দল মিলে ঢাকা শহরে এক জায়গায় সমাবেশ করলে সেখানে মানুষ পাওয়া যায় পঞ্চাশ জন। আর সাংবাদিক থাকে এক’শ জন। এই হচ্ছে তাদের সমাবেশ।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচন করতে পারবেন না, তাই তারা নির্বাচনে গিয়ে মির্জা ফখরুলকে নেতা বানাতে চান না, বিএনপি’র পতাকাটা তারা মির্জা ফখরুল কিংবা অন্য কারো হাতে তুলে দিতে চান না। সেই কারণেই তাদের নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে। নির্বাচন বানচাল করার জন্য অতীতে যেমন ষড়যন্ত্র করেছে এখনও সেই ষড়যন্ত্রের পথেই হাঁটছে বিএনপি। আপনারা নির্বাচনে যাবেন না, আবার সরকার হটাতে চাইবেন সেটি তো হয় না। নির্বাচনে আসুন, নির্বাচনে এসে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। জনগণ যাদেরকে নির্বাচিত করবে, তারাই দেশ পরিচালনা করবে।