| |
               

মূল পাতা জাতীয় আইন-আদালত ১৪ বছরের কারাদণ্ডের মুখে শহিদুল আলম


১৪ বছরের কারাদণ্ডের মুখে শহিদুল আলম


রহমত নিউজ     01 February, 2023     12:31 PM    


আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যক্রম পরিচালনায় মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার লঙঘন হচ্ছে বলে ট্রায়াল ওয়াচের এক প্রতিবেদনে অভিমত দেওয়া হয়েছে।

গত সোমবার (৩০ জানুয়ারি) প্রতিবেদনটিতে এই অভিমত দেওয়া হয়।

বিশ্বব্যাপী অপরাধমূলক বিচার পর্যবেক্ষণ এবং অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা করে ট্রায়াল ওয়াচ। এটি ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিসের একটি উদ্যোগ।

প্রতিবেদনে ট্রায়াল ওয়াচ বলেছে, ফৌজদারি আইনের যে বিধানে শহিদুল আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তা বাতিল হয়েছে। তবে গত বছর সুপ্রিম কোর্ট শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।

ট্রায়াল ওয়াচ বলেছে, শহিদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তি একটি ফেসবুক লাইভ ভিডিও। সেই ভিডিওতে তিনি ছাত্রদের বিক্ষোভ নিয়ে তোলা ছবি তুলে ধরেন। এর পাশাপাশি আল-জাজিরাকে একটি টিভি সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকার বিক্ষোভের পেছনের সামাজিক-রাজনৈতিক উদ্বেগের জায়গা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এখন তিনি ১৪ বছর কারাদণ্ডের মুখে।

ট্রায়াল ওয়াচ আরও বলেছে, শহিদুল আলমের ফেসবুক লাইভ বা টিভি সাক্ষাৎকারে সহিংসতার ডাক দেওয়ার কোনো উপাদান ছিল না। তবুও তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো এবং সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টিতে উসকানি ও প্ররোচনার মাধ্যমে ধ্বংসাত্মক কাজের জন্য অনুপ্রাণিত করার অভিযোগ আনা হয়।

এর আগে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা প্রয়োগ করে এক হাজার ২০০ জনকে গ্রেফতারর করা হয়। এ ধারা বাংলাদেশে ভিন্নমত দমনের প্রধান হাতিয়ার।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাচালে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে বাসা থেকে ধরে নেওয়া হয়। পরদিন ৬ আগস্ট ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় শহিদুল আলমকে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। একইদিন সিএমএম আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। পরে একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছিলেন। এ মামলায় ১০৭ দিন কারাভোগের পর একই বছরের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি। -ইত্তেফাক।