| |
               

মূল পাতা জাতীয় ১৪ এপ্রিলের পর থেকে সরাসরি এলডি ট্যাক্স গ্রহণ করা হবে না : ভূমিমন্ত্রী


১৪ এপ্রিলের পর থেকে সরাসরি এলডি ট্যাক্স গ্রহণ করা হবে না : ভূমিমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     26 January, 2023     08:20 PM    


ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আগামী পহেলা বৈশাখ ১৪ এপ্রিল থেকে সারা দেশে ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা চালু করা হবে। এর পর থেকে আর সরাসরি এলডি ট্যাক্স গ্রহণ করা হবে না। অবৈধ ভূমি দখলকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে উপযুক্ত শাস্তি ও জরিমানার বিধান রেখে প্রস্তুত করা ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। 

আজ (২৬ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৩’-এ ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রসঙ্গত, দলিলাদি বলতে যথাযথ নিবন্ধন দলিল, খতিয়ান সহ আনুষঙ্গিক নথিপত্র। কৃষি জমির সিলিং ৬০ বিঘা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরীক্ষণের পর এই দুই আইনের খসড়া আইন প্রণয়নের জন্য সংসদে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভূমির অপ্রতূলতার কথা মাথায় রেখে সরকার প্রথমবারের মত অকৃষি জমিতেও সিলিং রাখার বিধান করেছে। প্রাথমিকভাবে ‘ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন’-এ ৪০ বিঘা সিলিং (সর্বোচ্চ সীমা) এর প্রস্তাব করা হয়েছে।  ইতোমধ্যে ক্যাশলেস ই-নামজারি ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। নাগরিককে অনলাইনে দাখিলা প্রদান করা হয়েছে প্রায় ৪৫ লক্ষ। অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে ৩৭৫ কোটি টাকা যা তাৎক্ষণিকভাবে অটোমেটেড চালান সিস্টেমের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইনে এমন বিধানও রাখা হবে যেন বৃহৎ শিল্প স্থাপনে অকৃষি জমির সর্বোচ্চ সীমা কোনো বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে বিশেষ আবেদনে সরকার অকৃষি জমির ঊর্ধ্বসীমার অতিরিক্ত শিল্প স্থাপনে অনুমোদন দিতে পারবে। অন্যদিকে কৃষিজমি সুরক্ষা, অকৃষি জমির সর্বোচ্চ সীমার বিধান, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাসের উদ্দেশ্যে করা ‘ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন’-এর খসড়াও আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করা হবে। দলিলাদি যার, জমি তার’ এই ভাবনা থেকেই ভূমি অপরাধ আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। কেউ যত বছরই জোর করে কোনও জমি দখল করে রাখুক না কেন, যথাযথ দলিলাদি ছাড়া বেআইনি দখলদারের মালিকানা এই আইনে কখনই তা স্বীকৃতি দেওয়া হবেনা। আইন প্রণয়নের পর জমি দখল সংক্রান্ত হয়রানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে।