রহমত নিউজ ডেস্ক 23 January, 2023 06:42 PM
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, নিত্যপণ্যের আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে বাজার মনিটরিং আরো জোরদার করা হবে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে বাজার অস্থির হয়ে যায়। আসন্ন রমজান মাসে এসব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে ভোক্তা অধিদপ্তর।
আজ (২৩ জানুয়ারি) সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আদা, রসুন, হলুদ ও শুকনো মরিচের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি আমিন হেলালী, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূইয়া সহ আদা-রসুন, হলুদ ও শুকনা মরিচের খুচরা এবং পাইকারী ব্যবসায়ী, আমদানিকারক, ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তা মহাপরিচালক বলেন, রমজানের আগে আমাদের দেশি পেঁয়াজ উঠবে। এতে করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা নেই। ৫০ টাকার মধ্যেই থাকবে দাম। কিন্তু আদা, রসুনের বাজার অস্থির। রমজান আসার আগেই দাম বাড়তে শুরু করেছে। হঠাৎ করে আদা, রসুনের দাম বাড়ছে। কিছু পণ্য হয়তো আমদানি নির্ভর, ডলারের দাম বৃদ্ধি অনুসারে ২৫ শতাংশ দাম বাড়তে পারতো। কিন্তু ডলারের বাজারের তুলনায় পণ্যের দাম আরও বেশি বাড়ানো হয়েছে। দাম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে বাজার আরও অস্থির হয়ে যাবে।
সভায় ট্যারিফ কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানি করা ভোগ্যপণ্যের দাম ৩০ শতাংশ বেশি হতে পারে। তবে এর বেশি হওয়ার কথা নয়।