| |
               

মূল পাতা জাতীয় অধিকাংশ বাসের মালিক পুলিশ অফিসার : ফিরোজ রশীদ


অধিকাংশ বাসের মালিক পুলিশ অফিসার : ফিরোজ রশীদ


রহমত নিউজ ডেস্ক     23 January, 2023     07:19 PM    


প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনার কোনো ব্যবস্থা না হওয়ার অভিযোগ এনে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, রোড এক্সিডেন্টে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছেন। পৃথিবীর অন্য কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় এত মানুষ মারা যান কি না জানি না। একটি মৃত্যুর ঘটনায় ওই পরিবারটি ধ্বংস হয়ে যায়। তাদের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা বিলীন হয়ে যায়। এই যে বাসগুলো। এর মালিক কারা? অধিকাংশ বাসের মালিক হচ্ছে পুলিশ অফিসার। আমাদের যারা রাজনীতি করেন তারা। আর যারা শক্তিশালী আমাদের পাশে বসে আছেন। আমার পেছনে বসে আছেন আমাদের দলের চিফ হুইপ। তিনি বলতে পারবেন এসব বাসের মালিক কারা। এসব বাসের কোনো কিছু হয় না। কিচ্ছু হয় না। বেপরোয়া বাস চলে। কোনো বাসের লাইসেন্স নেই। চালকের লাইসেন্স নেই। সিগন্যাল বাতি নেই। ডানে যাবে না বামে যাবে কেউ বলতে পারে না। এসব চালকদের আজ পর্যন্ত আমরা পথে আনতে পারলাম না। শিক্ষিত করতে পাারলাম না।

আজ (২৩ জানুয়ারি) সোমবার একাদশ জাতীয় সংসদে চলমান অধিবেশনের অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ফিরোজ রশীদ বলেন, দেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ করবো। কিন্তু এই যে অবস্থা! এ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ করবো? আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে যদি একটু তুলনা করি সেখানে কী এই অবস্থা আছে? সিঙ্গাপুরে আছে? মালয়েশিয়ায় আছে? সরকার রাস্তাঘাটের অনেক উন্নয়ন করেছে। এসব রাস্তা দিয়ে রাতের বেলা ২০/৩০ টনের ট্রাক চলে। দেখার কেউ নেই। টাকা খেয়ে এই ট্রাকগুলোকে রাস্তায় ঢুকতে দেওয়া হয়। বাস ও চালকের লাইসেন্স আছে কি না, গাড়ির ফিটনেস আছে কি না, এসব যাচাই করলে এসব ঘটনা ঘটতো না। মহাসড়কে কোথাও মোটরসাইকেল-ভটভটি চলে না। আমাদের দেশে চলছে। এসব ভটভটি-নছিমন-করিমনের কোনো ব্রেক নেই। এসব দেখার জন্য জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, কক্সবাজার, টেকনাফ এলাকার মাদক কারবারিদের তালিকা করা হয়েছিল। এরপর অনেকে আত্মসমর্পন করেছিলেন। কিন্তু এখন মাদক আসা তিনগুণ বেড়েছে। এর সঙ্গে রোহিঙ্গারা জড়িত। অনেক জায়গায় ক্যাম্পের কাটাতারের বেড়া কেটে বাইরে চলে যান। তমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়া এলাকাটি নোম্যান্স ল্যান্ড। সেখনে কিছু রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে সশস্ত্র গ্রুপ আছে। তারা মাদক কারবারে সঙ্গে জড়িত। কোনাপাড়া দিয়ে মাদক আসছে। এই মাদক কারবারের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এদেশের অনেকে জড়িত। কক্সবাজার, টেকনাফে কারা কারা মাদক কারবারে জড়িত তার নতুন তালিকা করা উচিত। আর কোনাপাড়ায় যারা অবস্থান করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।