রহমত নিউজ ডেস্ক 19 January, 2023 05:26 PM
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়রকে উদ্দেশ্য করে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেছেন, ১৮৮৫ সালে বাংলাদেশ থেকে গণ্ডার বিলুপ্ত হয়েছে। কিন্তু গণ্ডার যাওয়ার আগে তার গায়ের চামড়াটা বরিশালের মেয়রের গায়ে পরিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা জানতাম, গণ্ডারকে এক শুক্রবারে গিয়ে সুরসরি দিলে পরের শুক্রবারে গিয়ে হাসতো। আবার রামায়নের একটি চরিত্র রয়েছে কুম্ভকর্ণ। তিনি ৬ মাস ঘুমাতেন আর ৬ মাস পরে একদিন ঘুম থেকে জেগে উঠতেন এবং জেগে উঠে সামনে যা পেতেন সব খেয়ে ফেলতেন। আমাদের মেয়র গত মে মাসে এখানে সমাবেশ করে বলেছিলেন লাইসেন্স দেব, তারপর তিনি কুম্ভকর্ণের মতো ৬ মাসের জায়গায় স্মার্টলি ৯ মাস ঘুমিয়েছেন। এখন আজকে জেগে উঠছেন।
আজ (১৯ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ কর্তৃক ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্সের দাবিসহ ৬ দফা দাবিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের আয়োজনে বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কমরেড দুলাল মল্লিকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পরিষদের সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও বাসদ বরিশাল জেলার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী, পরিষদের পটুয়াখালী জেলার অ্যাডভোকেট জহিরুল আলম সবুজ, সংগ্রাম পরিষদের বরিশাল জেলার সংগঠক মানিক হাওলাদার, সোনারগাঁও টেক্সটাইল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক প্রমুখ।
রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ১২ বছর ধরে এই ব্যাটারি রিকশার আন্দোলন চলছে, সারা বাংলাদেশে আন্দোলন চলছে, শ্রমিকরা নিপীড়ন-নির্যাতন ভোগ করছেন। পুলিশের হয়রানিসহ কত ধরনের হয়রানি মোকাবিলা করে যে আন্দোলন ১২ বছর ধরে চলছে, হঠাৎ করে তিনি বললেন তোমাদের লাইসেন্স দেব। আমাদের খালি একটা কথাই বলতে হবে, এতদিন কোথায় ছিলেন? আন্দোলন দেখেছেন, মানুষ দেখেছেন, এখন ভোট এবং নোট দুটার দিকেই আপনার লোভ জেগেছে। সামনে ভোটের সময় ভোট নেব আর এখন লাইসেন্স দেওয়ার নামে হাজার হাজার টাকা নেব। ভোট এবং নোটের লোভে আজ একটা দিনই পেলেন যেদিন মনীষারা এই জায়গায় মিটিং করবে আর সেদিনই আপনাকে লাইসেন্সের জন্য ধাপ্পা দিতে হবে! আপনাদের সবকিছু আমরা বুঝে গেছি। ড্রোন পাঠিয়েছেন, দেখছেন কারা কারা মিটিংয়ে আছে। সাহস থাকলে এই ড্রোন পাঠান যেখানে বিটের নামে চাঁদাবাজি হয়, যেখানে আপনার দলীয় কর্মীরা চাঁদাবাজি করে টেন্ডারবাজি করে। এই ড্রোন কেনা হয়েছে আমাদের ট্যাক্সের টাকায়, যে অপারেটর ওই ড্রোন পরিচালনা করছেন তার বেতনের টাকা আসে আমাদের ট্যাক্সের টাকায়। ওই ড্রোন দিয়ে আমাদের সমাবেশ দেখাতে হবে না, এই সমাবেশে কোনো বিশৃঙ্খলা হবে না। এখানে আন্দোলনের কথা হবে, যুক্তির কথা হবে, আমাদের ভবিষ্যতের কথা হবে।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: বরিশাল