রহমত নিউজ ডেস্ক 19 January, 2023 05:11 PM
কারাবন্দী আলেম-ওলামাদের আদালতে হাজির করার সময় সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ডান্ডাবেড়ি পরানো হচ্ছে। এই ঘটনা শুধু অমানবিক যে তা নয়, বেআইনিও। এইভাবে আলেমদের লাঞ্ছিত করা কারো জন্য শুভ হবে না। আলেমরা দেশের শত্রু বা সন্ত্রাসী না। তাদের এভাবে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে তোলা চরম অমানবিক।
আজ (১৯ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মুফতী কেফায়েতুল্লাহ আজহারী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইহয়া ও মহাসচিব মাওলানা শায়খ সাজিদুর রহমান এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানের সন্তানদের ইমান আকিদা ও দেশপ্রেম ধ্বংসের জন্য শিক্ষানীতি প্রণয়নের দায়িত্ব ইসলাম বিরোধী শক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা মুসলমানের সন্তানদের নাস্তিক ও হিন্দুত্ববাদী মানসিকতা তৈরি করার জন্য শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। শিক্ষা সিলেবাসের পরতে পরতে নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ডারউইনের কুখ্যাত নাস্তিক্যবাদ ও আরএসএস-এর হিন্দুত্ববাদ দিয়ে ভরে ফেলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস। বানর থেকে মানুষ সৃষ্টির কুরআন-হাদীস বিরোধী মতবাদ পাঠ্যবইয়ে সংযোজন করা হয়েছে। হিজাব থেকে শুরু করে দাড়ি_ ইসলামের এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনার বিষয়ে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে।
তারা আরো বলেন, আমাদেরকে বারবার আশ্বস্ত করা হয়েছিলো পাঠ্য বইয়ে ইসলাম বিরোধী কিছু থাকবে না। কিন্তু সেই কথা রাখা হয়নি। সর্বোচ্চ মহলের কাছে দাবি জানানোর পরেও ইসলাম বিরোধী মতবাদগুলো কেন পাঠ্যবইয়ে থাকলো, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি শিক্ষার্থীদের হাতে ইসলামবিদ্বেষী এসব বই-পুস্তক তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে স্পষ্ট যে, পুরো একটা জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমরা জানতে চাই, কারা এহেন গুরুতর অপকর্ম করেছে? তাদের সামনে আনা হোক। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক। একই সাথে এই শিক্ষা সিলেবাসে থাকা ইসলাম বিরোধী বিষয়গুলোসহ অসঙ্গতিপূর্ণ সকল বিষয় বাতিল করে নতুন সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। এই সিলেবাসে একদিনও পাঠদান আমরা মেনে নিতে পারি না।