রহমত নিউজ ডেস্ক 27 December, 2022 07:54 PM
মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেছেন, বাংলাদেশ ও লিবিয়ার মধ্যে সরকারি পর্যায়ে প্রবাসী কর্মী পাঠাতে একটি সমঝোতা স্মারক হতে যাচ্ছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই সমঝোতা স্মারক সই হবে। এছাড়া প্রতি বছর ৩০ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ সরকারিভাবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ (২৭ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার রাজধানীর তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে সভার সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে এটিই তাঁর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশগ্রহণ।
কবির বিন আনোয়ার বলেন, দেশে আরো দুটি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি হচ্ছে, যার মধ্যে একটি হবে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায়, আরেকটি রংপুরে। জামালপুরের একাডেমির নাম হবে শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, জামালপুর। আর রংপুরেরটির নাম হবে শেখ রাসেল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, রংপুর। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই দু’টি একাডেমী করার জন্য আইনের খসড়া চুড়ান্তভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিলে এই দুটি আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। নতুন দুটি একাডেমি হলে, দেশে মোট চারটি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি হবে। বর্তমানে কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি-বার্ড এবং বগুড়ায় পল্লী উন্নয়ন একাডেমি-আরডিএ রয়েছে। যশোরেও আরেকটি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি করার পরিকল্পনা আছে সরকারের। আইনের খসড়া অনুযায়ী একাডেমি পরিচালনায় একটি বোর্ড থাকবে। ২১ সদস্যবিশিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন পদাধিকারবলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী। আর একাডেমির মহাপরিচালক হবেন যুগ্ম সচিব বা তার ওপরের পর্যায়ের কেউ। পল্লী উন্নয়ন একাডেমী দু’টিতে গবেষণা ছাড়াও পল্লী উন্নয়ন বা সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে ডিপ্লোমাও করা যাবে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন, সার্টিফিকেট কোর্সেরও সুযোগ থাকবে। এ ক্ষেত্রে এসব কোর্সের সনদগুলো বিদ্যমান নিয়মে অর্থাৎ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, বিশ্বের কয়েকটি দেশে নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কোভিড পরিস্থিতি ও পদক্ষেপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে যেসব দেশে করোনার নতুন ধরনের প্রভাব দেখা যাচ্ছে, সেসব দেশের নাগরিকেরা বাংলাদেশের বন্দরগুলো দিয়ে আসলে তাদের পৃথকভাবে পরীক্ষা করে প্রবেশ করানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে চারটি বুথে এই পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চারজনকে পাওয়াও গেছে, তাদের আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা করোনাভাইরাসের মহামারীকে জয় করতে সমর্থ হয়েছি। বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন, সীমিত আকারের লকডাউন, বিভিন্ন ক্যাশ ইনসেটিভের মাধ্যমে এই মহামারীকে মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকার মতো প্রথমে আমরাও মহামারী মোকাবেলায় হিমসিম খাচ্ছিলাম। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা তা মোকাবেলা করতে পেরেছি। করোনা ভাইরাসের ৪র্থ ডোজ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন আমাদের অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স রয়েছে। সে অনুযায়ী যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো সক্ষমতা রয়েছে। তবে আমরা এখন প্রিভেনশনের বিষয়টি প্রাধান্য দিচ্ছি।