| |
               

মূল পাতা রাজনীতি অন্যান্য ‘ক্ষমতা পরিবর্তনের চেষ্টা করা জনগনের সাংবিধানিক অধিকার’


‘ক্ষমতা পরিবর্তনের চেষ্টা করা জনগনের সাংবিধানিক অধিকার’


রহমত নিউজ ডেস্ক     08 December, 2022     03:22 PM    


রাজনৈতিক সমাবেশে বাধা প্রদান, শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিকে সহিংস করে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়া এবং রাজনৈতিক অধিকারে বাধা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বহুদলীয় রাজনীতি এবং ক্ষমতাসীন দলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মিছিল-সমাবেশ করা, এমনকি ক্ষমতা পরিবর্তনের চেষ্টা করা বাংলাদেশের জনগনের সাংবিধানিক অধিকার। আজ (৮ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, যেকোনো সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশে নানা মত থাকবে। বিভিন্ন দ্বার খোলা থাকবে। সবাই সব মতের পক্ষে থাকবে না। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। বিরোধী মত বা পক্ষের গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করা স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার দুঃসহ স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পারে। একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এমন পরিস্থিতি মোটেও কাম্য নয়। মানুষ তার মতের প্রতিফলন দেখতে চায়। জনগণের এই অংশগ্রহণ ও অংশীদারত্বের অধিকার গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। সেই শর্ত ভঙ্গ করা মানে গণতন্ত্রের বিপদ ডেকে আনা। সংঘাত ও সংঘর্ষের ফলে পরিস্থিতি নাজুক হতে পারে। এতে এমন একটি রাজনৈতিক বন্ধ্যত্ব তৈরি হয়, যে পরিস্থিতিতে অগণতান্ত্রিক শক্তি উৎসাহিত হয়। যারা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে, তারা অন্ধকার ঠেলে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। তাদের তৎপরতা বেড়ে যায়। সাধারণ গণতন্ত্রকামী মানুষের অধিকার সংকুচিত হওয়ার পথ সৃষ্টি হয়। এমন পরিবেশের যেন সৃষ্টি না হয়, তার জন্য সব গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন শক্তিকে সজাগ থাকতে হবে।

তারা বলেন, একটি স্বাধীন দেশের রাজনীতিতে বিরোধীদল সমাবেশ করবে, মিছিল করবে এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার এবং সেসব সমাবেশে নিরাপত্তা দেওয়া, সমাবেশে উপস্থিত জনতার যাতায়াত সহজ করে দেওয়া যেকোনো সভ্য রাষ্ট্রের সরকারের মৌলিক দায়িত্বের অংশ। কিন্তু, দু:খজনক হলেও সত্য যে, বর্তমান ক্ষমতাসীনদের আচরনে স্বাধীন রাষ্ট্রের এসব মৌলিক অধিকারগুলোকে নির্মমভাবে হরণ হচ্ছে। তারা বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশগুলোতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাধাগ্রস্ত করে আসছে যা দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। স্বাধীনতার ৫২তম বছরে এসে বিরোধীদের সমাবেশ করার মতো স্বাভাবিক বিষয়কে কেন্দ্র করে যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি করা হয়েছে, যেভাবে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে, যেভাবে হামলা-মামলা ও গুলি করে বিরোধী মতের নেতাকে হত্যা করা হচ্ছে তা অকল্পনীয় এবং একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য মোটেও শুভ নয়।

তারা আরো বলেন, আমরা সরকারের নিকট আহ্বান জানাই, বিরোধীদের যেকোনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহায়তা করুন। আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে বাধামুক্ত-স্বাচ্ছন্দ্য করতে যা যা করণীয় তাই করুন। আর বিরোধীদলকে আহ্বান করবো, আপনাদের সাম্প্রতিক সমাবেশগুলোর মতো ঢাকার সমাবেশকেও শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর রাখতে রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর পরহার করুন। মনে রাখতে হবে ইতিহাস স্বাক্ষি যদি কোনো ক্ষমতাসীন সরকার গণতান্ত্রিক ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় বা করে, এর ফল কারও জন্যই সুখকর হয় না। পরিস্থিতির কারণে এ ধরনের অগণতান্ত্রিক আচরণ তাদেরও সহ্য করতে হতে পারে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে বাধাগ্রস্ত করলে একনায়কতান্ত্রিক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। এর দায় শাসকশ্রেণির ওপরই বর্তায় বেশি করে।