| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ নয়াপল্টনেই হবে : মির্জা ফখরুল


১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ নয়াপল্টনেই হবে : মির্জা ফখরুল


রহমত নিউজ ডেস্ক     08 December, 2022     07:05 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই হবে। আমরা নয়াপল্টনের কথাই বলেছি। সরকারকে এটাও বলেছি, আপনাদের কাছে যদি বিকল্প থাকে, সেটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে বিবেচনা করে দেখা হবে।

আজ (৮ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ২২ আগস্টের আগে আপনারা অনেকে বলেছেন বিএনপি কিছুই পারে না। তারপরে ৯টি সমাবেশ হয়েছে। আপনারা নিজেরাই দেখেছেন, মানুষ কীভাবে জেগে উঠছে। একশ মাইল সাইকেল চালিয়ে সমাবেশে এসেছে, চিড়া-গুড় নিয়ে এসেছে। ঢাকায় কী হয়, সেটা আপনারা নিজেদের চোখেই দেখবেন। ১০ তারিখের ব্যাপারটা কী? আমাদের সর্বশেষ বিভাগীয় সমাবেশ। তারপরে আমাদের প্রোগ্রামগুলো হবে, সেখানে আমাদের দাবি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আমাদের নতুন কর্মসূচি আসবে। সেগুলো নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন হবে।

তিনি আরো বলেন, সোহরাওয়ার্দীতে অনেক সমস্যা আছে। প্রথম হচ্ছে- এখন সেখানে বড় সমাবেশ করার জায়গা নেই। এতে বেশি স্থাপনা সেখানে তৈরি করা হয়েছে সেটা সমাবেশের জন্য উপযুক্ত নয়। দ্বিতীয়, ওখানে চারদিকে দেয়াল ঘেরা, বড় মিটিং, সেখানে যদি কোনো গোলযোগ সৃষ্টি হয় তাহলে বহু মানুষ পদদলিত হয়ে মারা যাবে। সেখানে একটা মাত্র গেট, সেটা দিয়েও একজন-একজন করে ঢুকতে হয়। আবার সেখানে পরপর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মেলন হওয়ার কারণে বিশাল স্টেজের কাঠামো তৈরি আছে। এখানে বোঝা যায় তাদের (আওয়ামী লীগের) পূর্ব পরিকল্পিত চক্রান্ত আছে। আরেকটা অভিযোগ হচ্ছে, আমরা সমাবেশের চিঠি দেওয়ার পরই কোনো আলোচনা না করে সোহরাওয়ার্দীতে বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছে। মিনিমাম একটা বিষয় হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা, এবার সেটাও করা হয়নি।

১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনেই সমাবেশ, সরকারকে পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১০ ডিসেম্বর আমরা সেখানে যাব। এরপর জনগণই ঠিক করবে কী হবে।  শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা অবশ্যই আমাদের সমাবেশস্থলে যাব। আর জনগণ কী করবে, সেটা তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। আওয়মী লীগের দুটি গুণ আছে, একটা হচ্ছে সন্ত্রাস, আরেকটি হচ্ছে দুর্নীতি। সন্ত্রাস না করলে তারা রাজনীতি করতে পারে না। আর দুর্নীতি না করলে তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারে না।