| |
               

মূল পাতা জাতীয় কেবিনেটে স্বেচ্ছাসেবী নীতিমালা পাস হয়েছে : গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী


কেবিনেটে স্বেচ্ছাসেবী নীতিমালা পাস হয়েছে : গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     05 December, 2022     08:32 PM    


প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, বর্তমানে দেশে ১০ লাখ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। স্বেচ্ছাসেবী ছাড়া সুন্দর বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে তারাই প্রকৃত সমাজসেবক। তারা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ায় প্রত্যাশায় এগিয়ে চলছে। তরুণরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রাষ্ট্রভাষার জন্য আন্দোলন করেছিল। যুদ্ধ করে দেশও স্বাধীন করেছে তারা। সরকার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য নানাভাবে কাজ করছে। কেবিনেটে স্বেচ্ছাসেবী নীতিমালা পাস হয়েছে। আগে সবাই পড়াশোনা শেষ করে চাকরির চিন্তা করতো। এখন অনেকেই স্বেচ্ছাসেবাকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। তরুণরাই উন্নত দেশ গড়ার কারিগর। তাদের ভেদাভেদ ভুলে যেতে হবে। এটা করতে হলে স্বেচ্ছাসেবক ছাড়া হবে না। বাল্যবিবাহ রোধ করতে স্বেচ্ছাসেবকদের এগিয়ে আসতে হবে।

আজ (৫ ডিসেম্বর) সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আলী চৌধুরী হলে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী দিবস উপলক্ষে ভলান্টিয়ার সার্ভিস ওভারসীজ-ভিএসও বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ভিএসও বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর খাবিরুল হক কামাল। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মালালা ফান্ডের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মোশাররফ তানসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক (কর্মসূচি) ডেভিড নপ, ব্রিটিশ হাইকমিশনের শিক্ষা উপদেষ্টা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, ইউএসআইডি বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট শাহীন সিরাজ, সিসেম বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবা নাসরীন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘করোনার সময়ে বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবকরা নানাভাবে কাজ করেছে। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সময় কাজ করেছেন। করোনাকালীন অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে এসছে। স্বেচ্ছাসেবী হলো বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করা। সবাই এটা করতে পারে না। এ জন্য উদার মানসিকতার হতে হবে।’

ডিরেক্টর কামাল বলেন, ভবিষ্যতে সুন্দর দেশ গড়তে হলে স্বেচ্ছাসেবীদের এগিয়ে আসতে হবে। সব স্বেচ্ছাসেবক একত্রে কাজ করতে পারলে দেশকে একটি সমৃদ্ধির জায়গায় নেওয়া সম্ভব হবে। সরকার স্বেচ্ছাসেবকদের নানাভাবে সহযোগিতা করছে। আমরা আশাবাদী স্বেচ্ছাসেবীরা আরও কাজের সুবিধা পাবেন। টেকসই উন্নয়নের জন্য, আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। একে অপরের প্রতি সংহতি প্রকাশের যুগে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

ভিএসও বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজম্যান্ট অ্যান্ড ভালনারেবল স্টাডিজ-আইডিএমভিএস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভলান্টিয়ার অপর্চুনিটির সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী দিবস উদযাপন করেছে। দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে সংহতি’। অনুষ্ঠানে ৬৪টি জেলার ১২০ জন স্বেচ্ছাছাসেবী সংস্থাকে তাদের স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়।