রহমত নিউজ ডেস্ক 03 December, 2022 06:31 PM
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শুধু বৈদেশিক সহায়তায় নয়, বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নেও জলবায়ু ঝুঁকি হ্রাসে কাজ করছে। এই লক্ষ্যে ২০০৯ সালে গঠিত বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত প্রায় ৪৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা) বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এই তহবিলের টাকায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি দপ্তর, সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮৫০ টির বেশি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত বিদেশি সহায়তা পেলে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আরো জোরালোভাবে কাজ করতে পারবে।
আজ (৩ ডিসেম্বর) শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন মিলনায়তনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামে একটি তার্কিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘কপ-২৭ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ছায়া সংসদে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকোনোলজি এবং স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করে। বিতর্কে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকোনোলজি দল জয়লাভ করে। পরে মন্ত্রী বিজয়ী দলকে পুরস্কার প্রদান করেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘মিশরের পর্যটন শহর শারম আল শেখে কপ-২৭ সম্মেলনে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। এবারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশের মত জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্তদেশসমূহকে উন্নত দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এজন্য প্রতিবছর একশ’ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। এবারের জলবায়ু সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হলেও অর্থায়নের উৎস নির্ধারণ করা হয়নি যা অতিদ্রুত করতে হবে। বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) বাস্তবায়ন করতে ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। পর্যাপ্ত বিদেশি সহায়তা পেলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের জন্য বাংলাদেশের ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন বা এনডিসি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করা সম্ভব হবে।